সেই রিফাত ফরাজীও গ্রেফতার
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৩ জুলাই ২০১৯, ১০:২৪ AM , আপডেট: ০৩ জুলাই ২০১৯, ১০:২৪ AM
বরগুনায় স্ত্রীর সামনে কুপিয়ে রিফাত শরীফকে হত্যা মামলার দ্বিতীয় শীর্ষ আসামি রিফাত ফরাজীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।বরগুনার পুলিশ সুপার মো. মারুফ হোসেন গ্রেফতারের বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন। গতকাল মঙ্গলবার প্রধান আসামি নয়ন বন্ড বন্দুকযুদ্ধে নিহতের পর তাকে গ্রেফতার করা হল।
রিফাতকে গ্রেপ্তার করা হলেও তাকে কখন, কোথায় গ্রেফতার করা হয়েছে তা তদন্তের স্বার্থে জানাতে রাজি হয়নি পুলিশ। এ নিয়ে রিোত হত্যার ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৯ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। যাদের মধ্যে চার জনকে সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এছাড়া এ হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামি ও মূলহোতা নয়ন মঙ্গলবার ভোরে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন। নয়নের প্রাণহানির বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন বরগুনার পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মারুফ হোসেন। তিনি জানান, ঘটনাস্থল থেকে তিনটি চাপাতি, একটি পিস্তল ও তিন রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। নয়ন বন্ডের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বরগুনা জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে ভোর রাত ৪টার দিকে বরগুনা সদর থানার পুলিশ নয়ন বন্ডকে গ্রেপ্তারের জন্য ওই গ্রামে যায়। ওই গ্রামের খলিল মাস্টারের বাড়ির সামনে গেলে নয়ন বন্ড ও তাঁর সহযোগীরা পুলিশের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় পুলিশও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি ছোড়ে।
এতে ঘটনাস্থলে নয়ন নিহত হন। হামলায় বরগুনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহজাহান মিয়াসহ চার পুলিশ সদস্য আহত হন। এঁদের মধ্যে দুজনের অবস্থা গুরুতর। তাঁদের বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অন্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
সোমবার সন্ধ্যায় মামলার এজাহারভুক্ত ১১ নম্বর আসামি অলি ও ভিডিও ফুটেজ দেখে শনাক্ত করা অভিযুক্ত তানভীর আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এছাড়া, নাজমুল হাসান, সাগর ও সাইমুন নামে অপর তিনজন বর্তমানে পুলিশি রিমান্ডে রয়েছেন। এদিকে মামলার ১২ নম্বর আসামি টিকটক হৃদয় গ্রেফতার হলেও তিনি বরগুনা জেলা পুলিশের কাছে পৌঁছায়নি।
গত ২৬ জুল (বুধবার) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বরগুনা সরকারি কলেজ রোডে সন্ত্রাসীরা স্ত্রীর সামনেই কুপিয়ে গুরুতর জখম করে রিফাত শরীফকে। পরে বিকেলে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। ওই ঘটনার ভিডিওচিত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে দেশজুড়ে প্রতিবাদ-সমালোচনার ঝড় ওঠে।