২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১:০৩

লক্ষ্মীপুরে মাকে বেঁধে প্রতিবন্ধী মেয়েকে ধর্ষণ

মনিরুল বাশার লিমন  © সংগৃহীত

লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে মাকে বেঁধে রেখে তার প্রতিবন্ধী মেয়েকে (২৫) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে ৪ নম্বর ইছাপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি মনিরুল বাশার লিমনের (২৭) বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটে রামগঞ্জ উপজেলার ৪ নম্বর ইছাপুর ইউনিয়নের নয়নপুর গ্রামে ২৫ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) দিবাগত গভীর রাতে। এ ঘটনায় ভিকটিমের বাবা থানায় মামলা করেছেন।

মামলার বাদী এজাহারে উল্লেখ বলেন, ‘আমি ঢাকা কাওরান বাজারে কাঁচামালের ব্যবসা করি। আমি ব্যবসার কাজে ঢাকা থাকায় বাড়িতে আমার স্ত্রী আমার মেয়ে ও ছেলেকে নিয়ে বসবাস করে। আমরা অত্যন্ত গরিব ও অসহায়। আমার মেয়ে একজন বাকপ্রতিবন্ধী। তালাকপ্রাপ্ত হয়ে গত প্রায় ২ বছর ধরে আমাদের বাড়িতে আমার স্ত্রীর সাথে থাকে। আসামি মনিরুল বাশার প্রকাশ লিমন আমাদের একই গ্রামের প্রতিবেশী। সে প্রায় সময় আমার বাড়ির পাশ দিয়ে আসা যাওয়ার সময় আমার মেয়েকে আকার ইঙ্গিতে কুপ্রস্তাব দিত। ঘটনার তারিখ ও সময়ে আমার ছেলে আমার মায়ের কাছে অন্য বাড়িতে ঘুমিয়ে ছিল এবং আমার স্ত্রী ও মেয়ে ভিকটিম আমাদের বসতঘরে একই রুমে ঘুমিয়ে ছিল। সেই সুযোগে ২৫ ডিসেম্বর রাত অনুমান ৩ ঘটিকার সময় আমার বসতঘরের মেইন দরজার উপরের ভেন্টিলেটর ভেঙে আসামিদ্বয় বসতঘরে প্রবেশ করে আমার মেয়ে ভিকটিমের চুল টান দিলে তার ঘুম ভেঙে দেখতে পায় যে মনিরুলসহ অজ্ঞাতনামা মাস্ক পরা ১ জন সামনে দাঁড়িয়ে আছে। তখন আমার স্ত্রী ও মেয়ে চিৎকার দিতে চাইলে তাদের হাতে থাকা ছুরি দেখিয়ে হুমকি দেয় যে, চিৎকার দিলে তাদের মেরে ফেলবে। তখন আসামিরা আমার স্ত্রী ও মেয়ে ভিকটিমকে ওড়না দিয়ে বেঁধে ফেলে এবং মনিরুল আমার স্ত্রীর সামনে আমার মেয়েকে ধর্ষণ করে।

এ বিষয়ে রামগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘গতকাল শুক্রবার ভিকটিমের বাবা মোহাম্মদ শাহজাহান বাদী হয়ে রামগঞ্জ থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন। ভিকটিমের মেডিকেল পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়েছে। অভিযুক্ত আসামি বর্তমানে পলাতক রয়েছে।’

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আলমগীর জানান, প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশ জোর তৎপরতা চালাচ্ছে।