সেহরীর নামে ডাকাতি, ডাল-সবজিও যেভাবে ৩০০টাকা হয়ে যায়
রমজান মাস মানেই সবকিছুর দাম চড়া। বরাবরের মতো এবারও রোজার শুরুতেই নিত্য প্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের দাম বাড়িয়েছেন বিক্রেতারা। সেই সঙ্গে বেড়েছে রান্না খাবারের দামও। কিন্তু সেই দাম যখন চোখ কপালে তুলে দেয়, তখন তো একটু অবাক হতেই হয়। বুধবার এমনই একটি বিষয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন ইয়াসিন আরাফাত নামে এক শিক্ষার্থী। দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস’র পাঠকদের জন্য তা তুলে ধরা হলো-
‘হোটেল নূর মহল, কুমিল্লা। ১৬ রমজান সেহরী খাওয়ার জন্য তাড়াহুড়ো করে রাত ৩টা ২০ মিনিটে ঢুকলাম কুমিল্লার সেই নামকরা হোটেল নূর মহলে (মিয়ামি হোটেলের পাশে অবস্থিত)। সেহরীর সময় তখন বাকী আর মাত্র ১৫ মিনিট। সেখানে শতশত মানুষ হুমড়ি খেয়ে পড়ছে সেহরী খাওয়ার জন্য।
একটা চেয়ারে বসে ওয়েটারকে ডাকা শুরু করলাম। আর তার ভাব বেড়ে গেল, ৪/৫ ডাক দেয়ার পরে ভাত দিল। আরও ৩ ডাক দেয়ার পরে ২টা শিং মাছ দিল; কিন্তু তখনও প্লেট দেয়নি। আর মাত্র সময় আছে ৬/৭ মিনিট। অবশেষে প্লেট পাইলাম এবং মাছ ভাত খেয়ে শেষ করলাম।
বিল পরিশোধ করার জন্য যখন কাউন্টারে আসলাম তখন আমার চোখ কপালে উঠল। যাই খান না কেন ৩০০ টাকা। আমি বললাম, ভাই আমি ভাত আর শিং মাছ খাইছি। বলল- ৩০০ টাকা, আর একজন বলল- গোশত আর ভাত খাইছি। তাকেও বলল ৩০০/- অলরেডি কাউন্টারের সামনে এসে কয়েকজন চেঁচামেচি শুরু করল। কেন এত টাকা বিল হবে? একজন বলল ২০০ টাকার ১ টাকাও বেশী দিব না, নিলে নেন না হলে গেলাম বলে চলে গেল। তার পেছন পেছন হোটেল বয়রা দৌড় দিল।
আরও আশ্চর্য্য হলাম, একজন এসে বলল ভাই আমি শুধু ডাল আর সবজি খেয়েছি। তাকে বলল- ২৫০ টাকা দেন। সেই লোকটি উপায় না পেয়ে টাকা দিয়ে চলে গেল।
অবাক দৃষ্টিতে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকলাম আর চিন্তা করলাম - আমার দেশের মানুষগুলো এত খারাপ কিভাবে হতে পারে? রমজানের সেহরী খাওয়ার নাম করে কিভাবে তারা ধর্মপ্রান মানুষের কাছে ডাকাতি করে? তারা তো কিছু টাকা কমিয়ে রাখতে পারতো... তা না করে তারা সুযোগ পেয়ে মানুষের প্রতি নির্যাতন করছে। এরা ব্যবসায়ী নামের অমানুষ ছাড়া কিছু নয়। এ অবস্থার দ্রুত সমাধান হওয়া দরকার।
সচেতন কুমিল্লাবাসী এবং স্থানীয় প্রশাসনকে এগিয়ে এসে দ্রুত এ হোটেলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার সবিনয় অনুরোধ করছি।’ [ফেসবুক থেকে সংগৃহীত]