হাদিকে গুলি করা ব্যক্তি কি ছাত্রলীগ নেতা? যা পাওয়া গেল অনুসন্ধানে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মাথায় রাজধানীর বিজয়নগর এলাকায় গুলি করেছে দুর্বৃত্তরা। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের পর বর্তমানে রাজধানীর এভাকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধী রয়েছেন তিনি।
তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি আসলে কে করেছে এবং এ কাজের পরিকল্পনায় কে বা কারা জড়িত, সে বিষয়ে মানুষের মধ্যে ব্যাপক কৌতুহল কাজ করছে। সচেতন নাগরিকরা চাচ্ছেন, জড়িতদেরকে গ্রেফতার করে উপযুক্ত শাস্তি নিশ্চিক করা হোক। এরই মধ্যে হত্যা চেষ্টায় জড়িত একজনের পরিচয় শনাক্ত হয়েছে।
শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে ফ্যাক্ট চেকিং প্রতিষ্ঠান দ্য ডিসেন্ট জড়িত একজনকে চিহ্নিত করার দাবি করেছে। তারা বলছে, হাদিকে গুলি করা ব্যক্তিটি হলেন- ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান। তিনি রাজধানীর আদাবর থানা ছাত্রলীগের নেতা ছিলেন।
নিজেদের ফেসবুক পেইজের এক পোস্টে দ্য ডিসেন্ট উল্লেখ করে, ‘ইনকিলাব কালাচারাল সেন্টার থেকে সংগৃহীত ৯ ডিসেম্বরের সিসিটিভি ফুটেজ, পুলিশের সংগৃহীত ১২ ডিসেম্বরের হামলার সিসিটিভি ফুটেজ, বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত এবং ফেসবুক/ইনস্টাগ্রামে ফয়সাল করিম মাসুদ নামক একাউন্ট এবং আওয়ামীপন্থী বিভিন্ন পেইজ ও ব্যক্তির প্রোফাইলে পোস্ট করা ৫০টিও বেশি ছবি বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে, ওসমান হাদীর ওপর বাইকের পেছন থেকে গুলি করা ব্যক্তিটির চেহারার সাথে ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান নামক এক ব্যক্তির চেহারা মিলে যাচ্ছে।’
‘তিনি রাজধানীর আদাবর থানা ছাত্রলীগের নেতা ছিলেন বলে সংবাদমাধ্যমে পুরনো খবর থেকে জানা গেছে। ২টি ফেইস ডিটেকশন অ্যাপে ফয়সাল করিমের একাধিক ছবি তুলনামূলকভাবে যাচাই করেও ইনকিলাব কালচারাল সেন্টারের সিসি ফুটেজে দৃশ্যমান ব্যক্তির মিল পাওয়া গেছে।’
‘বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, গুলিকারীর বাম হাতে থাকা বিশেষ ডিজাইনের ঘড়িটি পরা অবস্থায় ফয়সাল করিম মাসুদের ইনস্টাগ্রাম এবং ফেসবুক প্রোফাইলে একাধিক ছবি পাওয়া গেছে।’
‘২০২৪ সালের নভেম্বর মাসে একাধিক মূলধারার সংবাদমাধ্যমে ফয়সাল করিমের ছবিসহ খবর প্রকাশিত হয়েছিল, রাজধানীর মোহাম্মদপুরের আদাবর এলাকায় একটি অফিসে ঢুকে অস্ত্রের মুখে ১৭ লাখ টাকা লুট ও ডাকাতির মামলায় প্রধান আসামি হিসেবে ফয়সাল করিম র্যাবের হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন। যদিও পরে কিভাবে তিনি ছাড়া পান সে বিষয়ে কোনো সংবাদ প্রতিবেদন পাওয়া যায়নি।’