২২ বছর পর আত্মহত্যায় প্ররোচণা মামলার রায়
দীর্ঘ ২২ বছর পর আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলায় ৫ আসামির ১৩ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। রংপুরের কলেজ ছাত্রী রুমান আফরোজ তন্দ্রাকে জোরপূর্বক শ্লীলতাহানি, মারধর ও আত্মহত্যার প্ররোচনায় করা মামলায় মঙ্গলবার নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক জাবিদ হোসেন এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন মানিক, রতন, রানা, বাবলা, মালেকা। এদের মধ্যে দুইজন পলাতক থাকলেও বাকিরা রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯৬ সালে ঢাকার মিরপুর আইডিয়াল কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী রুমানা আফরোজ তন্দ্রা রংপুরের রবার্টসনগঞ্জ বাবুপাড়া এলাকায় তার মায়ের বাসায় আসেন। এসময় একই এলাকার মানিক, রতন, বাবলা ও রানাসহ বেশ কয়েকজন যুবক মিলে তাকে উত্যক্ত করত। ঘটনার দিন ১ জুলাই সন্ধ্যায় পার্শ্ববর্তী দোকানে দিয়াশলাই আনতে গেলে তন্দ্রাকে আসামিরা জোরপূর্বক শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। এতে প্রতিবাদী তন্দ্রা ক্ষিপ্ত হয়ে বাড়ি থেকে কুড়াল নিয়ে এসে আসামিদের ওপর আঘাত করার চেষ্টা করতে আসামিরা তাকে প্রকাশ্যে মারধর করে শরীরে থাকা কাপড় ছিড়ে দেয় এবং অপহরণের চেষ্টা করে। গ্রামের মানুষের সামনে এভাবে শ্লীলতাহানি ও মারধরের ঘটনায় তন্দ্রা মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে আত্মহত্যার পথ বেচে নেন।
এ ঘটনায় মাসুদা চৌধুরী বাদি হয়ে ১৭ জনকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ ২২ বছরেরও বেশি সময় ধরে ওই মামলায় আসামিদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি ও সাক্ষীদের স্বাক্ষ্যগ্রহণ ও চার্জশিট পর্যালোচনা করে মঙ্গলবার আদালত ৫ জনকে বিভিন্ন ধারায় অর্থদণ্ডসহ মোট ১৩ বছরের সাজা প্রদান করেন।
এব্যাপারে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পিপি জাহাঙ্গীর আলম তুহিন জানান, দেরিতে হলেও এই রায়ে বাদীপক্ষ ন্যায় বিচার পেয়েছেন। এ রায়ে তারা সন্তুষ্ট।