রিকশাচালককে মারধরকারী সেই পুলিশ সদস্যের বিচার শুরু
টাঙ্গাইলে রোজা থাকা অবস্থায় এক রিকশাচালক সেলিম মিয়াকে মারধরের ঘটনায় অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যের বিচার শুরু হয়েছে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সাইবার নিরাপত্তা ও অপরাধ দমন বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার ( এডিসি) নাজমুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।
ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি বলেছেন, ‘টাঙ্গাইলে রিকশাচালককে মারধরের ঘটনায় পুলিশের এক গাড়ি চালক খায়ের এর বিরুদ্ধে বিচার প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৪মে) দুপুরে টাঙ্গাইল পুলিশ সুপারের সভাকক্ষে ওই রিকশাচালকের হাতে ১০ হাজার টাকা তুলে দেন পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায়। এছাড়াও ওই রিকশাচালকের চিকিৎসার সকল ব্যয়ভার ও সুস্থ হওয়ার আগ পর্যন্ত পারিবারিক ব্যয়ভার বহনের দায়িত্ব নিয়েছেন তিনি।
এছাড়া অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মাসুদুর রহমান মনিরকে প্রধান করে একটি তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছে, তদন্ত প্রতিবেদনের মাধ্যমেই আইনি ব্যবস্থা নিতে হয়, এটাই নিয়ম। এভাবেই ন্যায়বিচার করা হয়। এভাবেই পুলিশ হয়ে উঠুক জনগনের পুলিশ। #আস্থা_অবিচল।’
এর আগে গত সোমবার রাতে ওই গাড়িচালককে পুলিশ লাইনে প্রত্যাহার করে নেয়া হয়। ওইদিন সকালে শহরের স্টেডিয়াম মার্কেট থেকে রিকশাটি জেলা সদর রোডে যাওয়ার সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের বাস ভবনের সামনে একটি পুলিশের পিকআপ ভ্যানের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওই পিকআপ ভ্যানের চালক আবুল খায়ের গাড়ি থেকে নেমে এসে ওই রিকশাচালককে লাঠি দিয়ে মারধর করেন।
এ সময় ওই রিকশাচালক চিৎকার করে কাঁদতে থাকেন। রিকশাচালককে পেটানোর দৃশ্য কয়েকজন পথচারী মোবাইল ফোনে ধারণ করেন। পরে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়। এ ঘটনা পুলিশ সুপার জানার পর ওই গাড়ির চালককে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়। মারধরের শিকার ওই রিকশাচালক সেলিম মিয়া সদর উপজেলার রসুলপুর গ্রামের মোখছেদ আলীর ছেলে।