১৮ নভেম্বর ২০২৫, ১৪:৪৭

স্কুলছাত্রকে ‘খেলনা পিস্তল’ ঠেকিয়ে হুমকি, এনসিপির সদস্যসহ গ্রেপ্তার ২

দুই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ  © সংগৃহীত

রংপুর নগরীতে এক স্কুলছাত্রকে পিস্তল ঠেকিয়ে হুমকি দেওয়ার অভিযোগে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) রংপুর মহানগর সমন্বয় কমিটির এক সদস্যসহ দুই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) দুপুরে পিস্তলসহ দুই যুবককে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের তাজহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহজাহান আলী।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন—রংপুর মহানগর সমন্বয় কমিটির সদস্য রাগিব হাসনাইন (৩০) এবং রাকিবুল ইসলাম ওরফে তুষার (২৬)। রাকিবুল রংপুরে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের বাড়িতে হামলা মামলার ১ নম্বর আসামি।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সোমবার রাত ৮টার দিকে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন পার্কের মোড়ের কাওছার একাডেমির সামনে প্রেমঘটিত কারণে দুই স্কুলছাত্রের মধ্যে বাকবিতণ্ডার সৃষ্টি হয়। ঘটনাস্থলে এক পক্ষের হয়ে রাগিব ও তুষার উপস্থিত হন। বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী বলেন, রাকিবুল পিস্তল বের করে এক ছাত্রের মাথায় ঠেকালে উত্তেজিত ছাত্র-জনতা তাদের ঘিরে ফেলে এবং মারধর করে পুলিশে সোপর্দ করে।

আরও পড়ুন: ‘এরা তো শিবির স্যার, নতুন ফোর্স লাগবে’— হামলার আগে ডিসি মাসুদের ফোনালাপ ভাইরাল

সোমবার রাতে থানায় গিয়ে দেখা যায়, এ ঘটনার পর এনসিপির মহানগর সমন্বয় কমিটির যুগ্ম সমন্বয়কারী আলাল উদ্দিন কাদেরীসহ কয়েকজন নেতা থানায় অবস্থান করছেন। তারা ওসির কক্ষে গিয়ে গ্রেপ্তার হওয়া দুই যুবককে ছাড়িয়ে নেওয়ারও চেষ্টা করেন।

থানার ভেতরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে এনসিপির রংপুর মহানগর সমন্বয় কমিটির যুগ্ম সমন্বয়কারী আলাউদ্দিন কাদেরী দাবি করেন, গ্রেপ্তার রাগিব এনসিপির সদস্য এবং রাকিবুল এনসিপির সমর্থক। তিনি বলেন, রাকিবুলের ভাগনেকে পার্কের মোড়ে মারধর করা হয়েছে খবর পেয়ে তারা ঘটনাস্থলে যান। কিন্তু সেখানে লোকজন মব তৈরি করে ‘খেলনা পিস্তল’ দিয়ে তাদের পুলিশের হাতে তুলে দেয়।

রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের তাজহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহজাহান আলী জানান, মারামারি এবং পিস্তল সদৃশ বস্তু দেখিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগে গ্রেপ্তার দুজনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে। আটক পিস্তল সদৃশ বস্তুটি ব্যালিস্টিক শাখায় পাঠানো হয়েছে। পরীক্ষায় এটি যদি প্রকৃত আগ্নেয়াস্ত্র প্রমাণিত হয়, তবে তাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে অতিরিক্ত মামলা রুজু করা হবে।