১৬ নভেম্বর ২০২৫, ২১:৫৪

প্রেম–পরকীয়ার জেরে যুবককে ছুরিকাঘাতে খুন

প্রেম–পরকীয়ার জেরে যুবককে ছুরিকাঘাতে খুন  © সংগৃহীত

বাড়িওয়ালার মেয়ের সঙ্গে প্রথম পরিচয় থেকেই প্রেমের সম্পর্কে জড়ান গাড়িচালক সাইদুর ইসলাম সৌরভ (২৭)। পরে সেই বাড়িওয়ালার গাড়িচালক হিসেবে নিয়োগ পান তিনি। সময়মতো ডিউটিতে আসার সুবিধার্থে একই বাড়িতেই থাকতেন তিনি। সেই সুবাধে বাড়ির ভাড়াটিয়া রুবেলের (২৩) সঙ্গেও পরিচয় হয় সৌরভের। বাড়িওয়ালার মেয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কের পরও তার নজর পড়ে রুবেলের স্ত্রীর দিকে। এ ঘটনার জেরে রাজধানীর গুলশান লেকের রাস্তায় ছুরিকাঘাতে খুন করা হয় সৌরভকে। পরে ঘটনার মূল হোতাসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে গুলশান থানা পুলিশ।

গ্রেপ্তারদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, রুবেল প্রায় দুই বছর আগে ভাটারা থানার খিলবাড়িরটেক এলাকায় জনৈক মামুনের বাসায় ভাড়া থাকতেন। নিহত সৌরভ ছিলেন তার বাড়িওয়ালা মামুনের গাড়িচালক। সেই সুবাদে বাড়ির আরেক ভাড়াটিয়া রুবেলের বাসায় যাতায়াত ছিল সৌরভের। একপর্যায়ে মামুনের মেয়ের সঙ্গে সৌরভের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একইসঙ্গে রুবেলের স্ত্রীর প্রতিও তার নজর পড়ে। এসব কারণে বাড়ির মালিক মামুন দেড় বছর আগে সৌরভকে চাকরিচ্যুত করেন।

পরবর্তীতে সৌরভ আবার মামুনের মেয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক পুনরায় জোড়া লাগানোর জন্য ভাড়াটিয়া রুবেলকে চাপ দেন। এরপর রুবেল এলাকা ছেড়ে চলে যান এবং সৌরভকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। পরে তিনি সহযোগীদের নিয়ে সৌরভকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে পালিয়ে যান। গ্রেপ্তার রুবেল আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

রুবেলের সঙ্গে অন্যান্য গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন—শামীম ওরফে পিচ্চি শামীম (২৭) ও মো. আকাশ (২২)।

গুলশান থানা সূত্রে জানা যায়, ১০ নভেম্বর গুলশান লেকের রাস্তার ওপর থেকে অজ্ঞাত এক যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে তার পরিচয় শনাক্ত করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের বোনের স্বামী মাসুম বিল্লাহ বাদী হয়ে গুলশান থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মামলা রুজুর পর থানা পুলিশের একটি টিম গোয়েন্দা তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় আসামিদের অবস্থান শনাক্ত করে। একপর্যায়ে গত শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) গভীর রাতে পিরোজপুর সদর থানার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে রুবেলকে গ্রেপ্তর করেন। পরে শনিবার (১৫ নভেম্বর) ভাটারা থানার বালুর মাঠ হাজারী গলি এলাকা থেকে আকাশকে এবং মাদারীপুরের শিবচর এলাকা থেকে শামীম ওরফে পিচ্চি শামীমকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের হেফাজত থেকে হত্যায় ব্যবহৃত একটি সুইচ–গিয়ার (চাকু) উদ্ধার করা হয়।