১৫ নভেম্বর ২০২৫, ১৩:৫৩

স্ত্রীর গলাকাটা মরদেহের পাশেই পড়ে ছিলেন স্বামী, মেয়ে আটক

স্ত্রীর গলাকাটা মরদেহের পাশেই পড়ে ছিলেন স্বামী  © সংগৃহীত

গাজীপুর মহানগরের কোনাবাড়ীতে একটি বহুতল ভবনের পঞ্চম তলার ফ্ল্যাট থেকে গলা কাটা অবস্থায় এক নারীর মরদেহ এবং তার স্বামীকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় দম্পতির ১৬ বছর বয়সী মেয়েকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। রহস্য উদ্ঘাটনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক সংস্থা কাজ করছে।

শনিবার (১৫ নভেম্বর) সকাল ৭টার দিকে প্রতিবেশীরা রক্তাক্ত অবস্থায় স্বামী-স্ত্রীর নিথর দেহ মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এসে স্ত্রী রহিমা খাতুনকে মৃত অবস্থায় এবং স্বামী এমরান হোসেনকে অচেতন ও মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।

স্থানীয়রা জানান, কোনাবাড়ীর ওই ভবনের পঞ্চম তলার ফ্ল্যাটে স্বামী-স্ত্রীকে গলা কাটা অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। এমরানের সামান্য পালস পাওয়া গেলে তাকে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হয়, আর রহিমার মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়।

আরও পড়ুন: ‘বিগো লাইভে’ পরিচয় থেকে ত্রিভুজ প্রেম—বন্ধুর হাতে খুন আশরাফুল

ময়নাতদন্ত ও ঘটনার কারণ উদ্ঘাটনে ক্রাইম টিমসহ পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিট ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছে। এ সময় পাশের ঘর থেকে কিশোরী মেয়েটিকে উদ্ধার করে পুলিশ। তারা জানায়, সে রহিমার প্রথম স্বামীর ঘরের সন্তান।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে কিশোরী জানায়, তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টিকটকে আসক্ত হয়ে পড়েছিলেন। তার তিন বন্ধু-বান্ধবীসহ চারজন প্রায়ই এই ফ্ল্যাটে অবস্থান করতেন। ঘটনার আগের রাতেও চারজন সেখানে ছিলেন। তবে পুলিশ পৌঁছানোর আগে তিনজন পালিয়ে যায় বলে দাবি করে সে। কিশোরী আরও জানায়, হত্যাকাণ্ডের জন্য সে তার সৎ বাবাকেই দায়ী করছে।

খবর পেয়ে পিবিআই, সিআইডিসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। কোনাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন আহম্মেদ বলেন, ‘মরদেহ উদ্ধারের সময় তল্লাশিতে এমরান হোসেনের পালস পাওয়া যায়। সঙ্গে সঙ্গে তাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়। রহিমার মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে রক্তাক্ত একটি ছুরি ও কাঁচি উদ্ধার করা হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ঘটনাটি অত্যন্ত সংবেদনশীল। আটক কিশোরীকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। অন্য জড়িতদের শনাক্ত ও গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।’