১২ অক্টোবর ২০২৫, ০২:০১

মূল হোতা দুবাইয়ে, আত্মীয়ের টাকা উদ্ধারে গেলে ফাঁসানো হয় ছাত্রদল নেতা শাওনকে

হুন্ডি ব্যবসায়ী মো. সাইফুল ইসলাম। বামে ট্রাভেল এজেন্সির স্বত্বাধিকারী শেখ নাঈম ও ডানে ছাত্রদল নেতা শাওন  © টিডিসি সম্পাদিত

গুলশান থানায় দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখার সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন শাওন জামিন পেয়েছেন। শনিবার (১১ অক্টোবর) মামলার বাদী ও রাজধানীর পান্থপথের ‘ট্রিপজায়ান’ ট্রাভেল এজেন্সির স্বত্বাধিকারী শেখ নাঈম আহমেদের জিম্মায় এই মামলার তিন নম্বর আসামি শাওনকে জামিন দেয় ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত। তবে মামলার প্রথম আসামি মোহাম্মদ ইদ্রিস ও দ্বিতীয় আসামি মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিনকে জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

এর আগে শুক্রবার (১০ অক্টোবর) মামলার বাদীকে অপহরণ ও নির্যাতন করে সাড়ে ৩৭ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবির অভিযোগে মামলাটি করা হয়। তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মামলার এজাহারে বাদী শেখ নাঈম আহমেদ সাড়ে ৩৭ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি উল্লেখ করলেও ঘটনার পেছনে রয়েছে আরেকটি ঘটনা। মূলত মধ্যপ্রাচ্যে হুন্ডির মাধ্যমে টাকা পাঠানো ও ব্যবসায়িক লেনদেনের প্রতারণার ঘটনাও জড়িত রয়েছে। ফলে এ ঘটনার বাদী ও বিবাদী উভয় পক্ষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানিয়েছে পুলিশ।

আর জামিন পেয়ে ছাত্রদল নেতা নাছির উদ্দিন শাওন দাবি করছেন, তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার। তার আত্মীয়ের টাকা উদ্ধারে গিয়ে গ্রেপ্তার হয়েছেন তিনি। পরে আদালতে হলফনামা দাখিল করে মামলার বাদী শেখ নাঈম আহমেদ জিম্মায় জামিন করানো হয়। অন্যদিকে, শুরু থেকে ঘটনার মূল হোতা অবস্থান করছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে। যার নাম মো. সাইফুল ইসলাম। তিনি মূলত একজন মধ্যপ্রাচ্যের হুন্ডি ব্যবসায়ী।

ঘটনার শুরু যেভাবে
মামলার প্রথম আসামি মোহাম্মদ ইদ্রিসের বাড়ি চট্টগ্রামের বাশঁখালী উপজেলায়। তিনি ব্যবসার পাশাপাশি চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের রাজনীতির সঙ্গেও জড়িত রয়েছেন। ছাত্রদল নেতা শাওনের গ্রামে বাড়িও বাঁশখালীতে এবং ইদ্রিসের ফুফাতো ভাই তিনি।

জানা গেছে, ইদ্রিস দেশে খেজুর ব্যবসার সঙ্গে জড়িত আছেন এবং এসব খেজুর মধ্যপ্রাচ্য থেকে আমদানি করেন তিনি। তার বড় ভাই মোহাম্মদ ওয়াহেদ দুবাইয়ে থাকেন। মূলত তার মাধ্যমে ইদ্রিস সেখান থেকে খেজুর আমদানি করেন। এদিকে, ওয়াহেদের মাধ্যমে চলতি মাসের শুরুর দিকে তিনি সাড়ে ৩৭ লাখ টাকার সমপরিমাণ খেজুর কিনে আনার পরিকল্পনা করেন ইদ্রিস। তাই দুবাইয়ে অবস্থান করা ওয়াহেদের কাছে বাংলাদেশ থেকে দ্রুত সময়ে টাকা পাঠাতে দ্বারস্থ হন সেখানকার হুন্ডি ব্যবসায়ী মো. সাইফুল ইসলামের।

ইদ্রিসের এক আত্মীয় জানান, শিগগির দাম বাড়তে পারে খেজুরের, এই শঙ্কা থেকে মজুত করার লক্ষ্যে একসঙ্গে সাড়ে ৩৭ লাখ টাকার সমপরিমাণ খেজুর কেনার পরিকল্পনা করেন ইদ্রিস। কিন্তু বিপত্তি বাধল দুবাইয়ে থাকা তার ভাই ওয়াহেদের, কারণ তার কাছে নগদ সাড়ে ৩৭ লাখ টাকার সমপরিমাণ দিরহাম নেই। তাই পরিচিত ও বাংলাদেশি সেখানকার হুন্ডি ব্যবসায়ী মো. সাইফুল ইসলামের দ্বারস্থ হন তিনি এবং তাদের মধ্যে মৌখিক চুক্তিও হয়।

আরও পড়ুন: ঢাবি ছাত্রদল নেতা শাওনসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি মামলা, মুখ খুলছেন না কেউ

মৌখিক চুক্তি মতে, ইদ্রিসের কাছ থেকে নিয়ে মো. সাইফুল ইসলামকে সাড়ে ৩৭ লাখ টাকার সমপরিমাণ দিরহাম দেবেন ওয়াহেদ। সেজন্য তাকে বাংলাদেশের কোনো ব্যাংকে সমপরিমাণ এই টাকা জমা দিতে হবে। পরে গত ৬ অক্টোবর রুপালি ব্যাংকের মাধ্যমে ডাচ বাংলা ব্যাংকের একাউন্টে সাড়ে ৩৭ লাখ টাকা জমা দেন ইদ্রিস।

জানা গেছে, সামনে দাম বাড়তে পারে খেজুরের, এটা ভেবে এই সিদ্ধান্ত নেন ইদ্রিস। তবে ঝামেলা লাগল নগদ দিরহাম দিয়ে। এ জন্য সাইফুল ইসলাম বাংলাদেশে তার দেয়া একাউন্টে এই টাকা পাঠালে তিনি সমপরিমাণ দিরহাম ওয়াহেদকে দিয়ে দেবেন। সেই অনুযায়ী, কোনো লিখিত প্রমাণ ছাড়াই সাইফুল ইসলাম দেয়া ব্যাংকে ৬ অক্টোবর রুপালি ব্যাংকের পদ্মা ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল একাউন্টের মাধ্যমে ডাচ বাংলা ব্যাংকের ‘ট্রিপজায়ান’ একাউন্টে আরটিজিএস মাধ্যমে এই পেমেন্ট সম্পন্ন হয়। এদিকে, ডাচ বাংলা ব্যাংকের একাউন্টে এই টাকা জমা হওয়ার পরপরই অন্য তিনটি একাউন্টে সঙ্গে সঙ্গে সরিয়ে নেন সাইফুল। অন্যদিকে ওয়াহেদকে দেরহাম দেননি সাইফুল।

সাইফুলের সঙ্গে যেভাবে পরিচয় শেখ নাঈমের
‘ট্রিপজায়ান’ ট্রাভেল এজেন্সিতে তিন বছর ধরে এয়ার টিকেট ও টুরিস্ট ভিসার কাজ করছেন নাঈম। তবে কোনো ম্যান পাওয়ারের কাজ করেন না বলে তিনি করেন। শেখ নাঈমের দাবি, টুরিস্ট ভিসার কাজ করতে গিয়ে সাইফুলের সঙ্গে দুই বছর আগে পরিচয় হয় তার। 

নাঈম জানান, দুই বছর আগে সাইফুলের কাছে টুরিস্ট ভিসার কাজ করান তিনি। টুরিস্ট ভিসার নিয়ম আছে একমাস বা দুই মাসের ভিসা দিলে টুরিস্ট রিয়েল কিনা সেটা নিশ্চিতে কিছু টাকা সিকিউরিটি মানি দিতে হয়। সাইফুলের কাছে ৫-৭টি টুরিস্ট ভিসা ভিসা করায়, এর পরিবর্তে ভিসার সিকিউরিটি মানি হিসেবে আমার কাছ থেকে এক লাখেরও বেশি তার কাছে জমা ছিল। পরে ২০ হাজারে মতো বিকাশ পাঠিয়েছে। কিন্তু দুই বছর ঘুরাচ্ছেন সাইফুল, বাকি টাকাগুলো নিতে পারেননি। যদিও সে কাজের কথা বলতো প্রায়। কিন্তু একবার যে ঘুরাচ্ছে তার কাছে তো বিশ্বাস উঠে যায়।

শেখ নাঈমের মাধ্যমে যেভাবে সাইফুলের কাছে গেল সাড়ে ৩৭ লাখ টাকা
এ ঘটনার এক সপ্তাহ আগে শেখ নাঈমের ব্যাংক একাউন্ট ও ভিজিটিং কার্ড চান সাইফুল। তিনি জানালেন, তার একটি এক্সপোর্ট-ইমপোর্টের ইস্যু আছে। কিছু টাকা তোমার একাউন্টে ঢুকলে তোমার পাওনা টাকাটা (এক লাখ) রেখে আমাকে বাকিগুলো দিয়ে দিও। শেখ নাঈম বলেন, ৬ অক্টোবর সাড়ে ৩৭ লাখ টাকা ব্যাংকে ঢুকে। তিনটি একাউন্ট দিয়েছিল সাইফুল, আমি নিজের এক লাখ টাকা রেখে বাকিটা সেই তিনটি একাউন্ট দিয়ে দিয়েছি। আমার ব্যাংক স্টেটমেন্টে এগুলো আছে। পুলিশের কাছেও দিয়েছি।

শেখ নাঈম বেলেন, আমার ব্যাংক একাউন্টে একসঙ্গে কখনও ৩০-৫০ লাখ টাকা ঢুকেনি। কিন্তু টিকেটের জন্য ভেঙ্গে ভেঙ্গে প্রতিদিন সর্বোচ্চ ১০ থেকে ১৫ লাখ ডুকছে। কিন্তু গত ৬ অক্টোবর এই টাকা (সাড়ে ৩৭ লাখ) ঢুকছে। তখন আমি অবাক হয়, এতো টাকা ঢুকল কেন। এরপর আমি সাইফুল ভাইকে কনফার্ম হতে ডিপোজিট স্লিপ দেখতে চাইলে তিনি দেখায়। তখন আমার টাকাটা (একলাখ) রেখে বাকি টাকাগুলো তিনটি ব্যাংকে দিয়ে দিয়েছি। 

দুবাইয়ে ওয়াহেদ টাকা না পেয়ে শেখ নাঈমের কাছে ফোন ইদ্রিসের
গত ৬ অক্টোবর শেখ নাঈমের একাউন্টে সাড়ে ৩৭ লাখ ডুকার পর মৌখিক চুক্তি অনুযায়ী দুবাইয়ে সাইফুলের কাছ থেকে ওয়াহেদ সমপরিমাণ দিরহাম পাওয়ার কথা। কিন্তু সাইফুল দিরহাম না দিয়ে উধাও হয়েছে বলে জানান ইদ্রিসের আত্মীয়রা। দুবাইয়ে সাইফুলকে না পেয়ে পরদিন ৭ অক্টোবর শেখ নাঈমের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করেন ইদ্রিস।

শেখ নাঈম জানান, গত ৭ অক্টোবর অপরিচিত একলোক ফোন দিলে রিসিভ কনে ১৯ মিনিট ধরে কথা হয় তার এবং জানায়, তারা যে টাকা আমার কাছে পাঠিয়েছে সেটা ওয়াহেদ পায়নি। কিন্তু আমার বিষয়টি তো আমি ক্লিয়ার। তখনই তো তিনটি ব্যাংকে দিয়ে দিয়েছি টাকাগুলো। আমার কাছে সব প্রমাণ আছে। আমি সব প্রমাণ পুলিশকে দিয়েছি। ব্যাংক, সাইফুলকে মেসেজ দেয়া। এমনটি ইদ্রিসের কাছে ডিপোজিট স্লিপ চাইলে উনি দেখায়নি। তখন জিজ্ঞাসা করি কোন একাউন্টে, তখনও কিছু বলতে পারেনি। পরে আমি বলছি থানায় (কলাবাগান) জিডি করান। তাহলে আমাকে পুলিশ ডাকলে আমি দেখাবো সব। কিন্তু তারা সেটিও করেননি। অন্যদিকে, সাইফুলকে বললে তিনি বলেন, এসব স্কাম। এরপর তাদের (ইদ্রিসদের) এভয়েড চেষ্টা করি।

ঘটনার দিন শেখ নাঈমের সঙ্গে যেভাবে সাক্ষাতে আসলেন ইদ্রিস-শাওনরা
বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) দুপুর ১টার দিকে ব্যাবসায়িক মিটিংয়ে অংশগ্রহণ করার জন্য গুলশান-১ যান শেখ নাঈম। মিটিং শেষ করে সেখানে একটি হোটেলে খেতে গেলে তার একটি ফোন আসে। তখন দুবাইয়ের টিকেট লাগবে বলে জানায় অপরপ্রান্তে। তখন নাঈম বলেন, আমি অফিসের বাহিরে গুলশানে আছি। তখন অপরপ্রান্তে থাকা ব্যক্তিও গুলশানে আছে বলেন এবং তিনি তখন তার ওই হোটেলের দিকে আসতে বলেন। কিছু সময় পর হোটেলে ১৪-১৫ এসে পাশের একটি রেস্টুরেন্টে নিয়ে আমার কাছ থেকে সাড়ে ৩৭ লাখ টাকা দাবি করেন। সবকিছু চেক করেন আমার তখন।

শেখ নাঈম বলেন, তারা স্বীকাররোক্তি নিতে চায় যে আমার একাউন্টে টাকা ঢুকছে কিনা। যদি টাকা ঢুকলে আমাদেরকে টাকাগুলো দিয়ে দিতে বলেন তারা। কিন্তু প্রকৃত মালিকতো আমি না। তারা আবার পরিচয় দেয় না। পরে ইদ্রিস নামে একজন পরিচয় দেয়। তারপর সবকিছু বুঝেছি।

আরও পড়ুন: বাদীর জিম্মায় জামিন পেলেন ঢাবি ছাত্রদল নেতা শাওন

গুলশান থানা সূত্র জানা যায়, এ ঘটনার পরদিন শুক্রবার দুপুরে শাওনের নেতৃত্বে একদল যুবক রাজনৈতিক পরিচয় দিয়ে গুলশান থানায় এসে আটক আসামি ইদ্রিসকে ছাড়িয়ে নেয়ার জন্য তদবির করে। পুলিশ কর্তকর্তাদের সাথে তাদের কথা কাটাকাটি হয়। এসময়ে পুলিশকে গোপন সূত্রে জানানো হয়, থানায় তদবিরকারীদের মধ্যে এজাহারভুক্ত দুই আসামি আছে। পুলিশ তাৎক্ষণিক দুই নম্বর আসামি হেলাল ও তিন নম্বর আসামি শাওনকে আটক করে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গুলশান থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক হারুন অর রশিদ জানান, যৌথ বাহিনীর হস্তান্তর করা ১ নম্বর আসামিকে এক দিনের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। এছাড়াও এজাহারভুক্ত অপর দুই আসামিকেও আটক করে তিনজনকে একসাথে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

পুলিশের গুলশান বিভাগের সহকারী কমিশনার আলী আহমেদ মাসুদ জানান, ঘটনাটি মুক্তিপণ আদায়ের জন্য অপহরণ করে নির্যাতনের ঘটনা ঘটলেও পেছনে রয়েছে আরও অনেক অপরাধ। মূলত মধ্যপ্রাচ্যে হুন্ডির মাধ্যমে টাকা পাচার ও ব্যবসায়িক লেনদেনের প্রতারণার ঘটনাও জড়িত আছে। উভয় পক্ষ এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

জানতে চাইলে ছাত্রদল নেতা শাওন বলেন, আমি ষড়যন্ত্রের শিকার। শুক্রবার থানায় দেখতে গেলে পুলিশ অমাকে আটক করে। পরদিন শনিবার বাদীর জিম্মা ছেড়ে দিয়েছে। আমি অপরাধী হলে তো সেটা হত না।

তিনি বলেন, ইদ্রিস আমার এলাকায় স্বেচ্ছাসেবক দলের রাজনীতি করেন এবং আমার আত্মীয়ও। বিপদে পড়ে তো তিনি আমার কাছে এসেছে। আমি তাকে হেল্প করতে যেতে পারি না? ওখানে দিরহাম দেবে সাইফুল বিমিনেয় বাংলাদেশি টাকা তাকে দেওয়া হবে। এমনটাই চুক্তি হয়েছিল মৌখিকভাবে।

‘‘এ ঘটনায় আমাদের ও শেখ নাঈমকে ফাঁসিয়েছেন সাইফুল। আমরা টাকা দিয়েছি। সেই টাকা শেখ নাঈম পাঠানোর পর সাইফুল নিয়ে নিয়েছে। এক থেকে দেড় লাখ টাকা শেখ নাঈম রেখে দিয়েছে। শেখ নাঈমও জানে না টাকাটা কোথায় গেছে। তিনি অপরাধী না। আমরা যে টাকা দিয়েছি সেটা লিগ্যাল। আমাদের ব্যাংকের কাগজপত্র আছে। মানবিক দিক বিবেচনা করে ওখানে গিয়েছিলাম।’’

জানতে চাইলে দুবাইয়ে থাকা ঘটনাটির মূল হোতা মো. সাইফুল ইসলামের নম্বরে (+971***687954) হোয়াটসঅ্যাপে একাধিকবার কল দেওয়া হলে তিনি রিসিভ করেননি। পরে মেসেজ পাঠানো হলেও তার রিপ্লে দেননি তিনি।