স্বামীর দেওয়া আগুনে দগ্ধ সেই দীপিকা না ফেরার দেশে
স্বামীর দেওয়া আগুনে দগ্ধ হওয়া সেই দীপিকা আর নেই। চারদিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে মারা গেছেন গৃহবধূ দীপিকা আশ্চার্য্য মনিকা। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার তিনি মারা যান।
নিহত দীপিকা আশ্চার্য্য মনিকা হাজীগঞ্জ পৌরসভার বকুলতলা রোডের রঞ্জিত আশ্চার্য্যের ছেলে বিপুল আশ্চার্য্যের স্ত্রী। দশ বছর আগে পারিবারিকভাবে তাদের বিয়ে হয়। তিন বছরের একটি মেয়ে রয়েছে তাদের। এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার রাতে হাজীগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন নিহতের ভাই অরবিন্দ আশ্চার্য্য।
দীপিকার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলমগীর হোসেন সাংবাদিকদেরকে বলেন, দীপিকার শরীরের প্রায় ৯২ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। এ ঘটনায় তার স্বামী, শাশুড়ি ও ভাসুরকে আটক করা হয়েছে।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ৩০ এপ্রিল রাতে স্বামী বিপুল আশ্চার্য্য ও ভাসুর সজল আশ্চার্য্য কেরোসিন ঢেলে আগুন দিয়ে দীপিকাকে হত্যার চেষ্টা করেন। পরে এটিকে দুর্ঘটনা বলে প্রচার করা হয়। প্রথমে তাকে হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে কুমিল্লা মেডিকেলে নেয়া হয়। সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়।
অরবিন্দ আশ্চার্য্য বলেন, ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে সে বলেছে, ‘মারধর করে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয় তার স্বামী ও ভাসুর। ঘটনার পর থেকে তিন বছরের ভাগনীকে নিয়ে সজলের স্ত্রী দিপা পলাতক রয়েছেন। আগুন লাগানোর আগে দীপিকাকে মারধর করা হলে তার মাথা ও কপাল ফেটে যায়।’
তিনি বলেন, ‘বিপুল মাদকাসক্ত হওয়ায় পরিবারে ঝগড়া বিবাদ লেগেই থাকতো। কয়েক মাস যাবত সম্পত্তি বিক্রির চেষ্টা করে আসছে সজল ও বিপুল। দীপিকা ওই সম্পত্তি বিক্রিতে বাধা দিয়ে আসছিল।