এক বছর ধরে বন্ধ টেকনাফ স্থলবন্দর, রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার
মিয়ানমারের আরাকান রাজ্যে আরাকান আর্মির দাপটে চলমান সহিংসতার প্রভাব এসে পড়েছে বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী টেকনাফে। দীর্ঘ এক বছর ধরে বন্ধ রয়েছে দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্থলবন্দর টেকনাফ স্থলবন্দর। ফলে থমকে আছে বাংলাদেশ-মিয়ানমার স্থলপথে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম।
বন্দরটির এমন অচলাবস্থায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন স্থানীয় ব্যবসায়ী, শ্রমিক ও পরিবহন খাতের হাজারো মানুষ। কাজ হারিয়ে অনেকেই এখন বেকার, কেউ কেউ আবার বাধ্য হয়ে বেছে নিচ্ছেন অবৈধ পথ। এমন অবস্থার প্রতিবাদে সম্প্রতি বন্দরের সামনে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেন জীবিকা নিয়ে অনিশ্চয়তায় টেকনাফের সাধারণ মানুষ।
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, বন্দর বন্ধ থাকায় বহু পণ্যের চালান আটকে আছে। ব্যাংক ঋণের চাপ সামলাতে না পেরে অনেক ব্যবসায়ী দেউলিয়া হয়ে পড়েছেন। শ্রমিকেরা কাজ না পেয়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে পড়েছেন দারুণ কষ্টে।
আরও পড়ুন: পরিত্যক্ত ভবনে অন্তত বসার উপযোগী করতে ফোন করেছি, এসির জন্য নয়
আবদুল জাব্বার নামের এক ব্যবসায়ী বলেন, আগে প্রতিদিন বন্দরে কাজ করতাম। এখন আর কোনো কাজ নাই, এখন সব বন্ধ। গাড়ি বন্ধ ইনকাম বন্ধ। চাকরির কোনো সুযোগ নেই। অনেকেই মাদকে জড়িয়ে পড়ছে। এভাবে চললে সমাজ আরও নষ্ট হবে। বন্দরের মাধ্যমে সরকার কোটি কোটি টাকা রাজস্ব পেত, এখন সেটাও বন্ধ। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে জরুরি উদ্যোগ দরকার। সরকার হারাচ্ছে কোটি টাকার রাজস্ব।
সরকারি হিসেব অনুযায়ী, টেকনাফ স্থলবন্দর দিয়ে বছরে কয়েকশ কোটি টাকার আমদানি-রপ্তানি হতো। বন্দরটি বন্ধ থাকায় রাজস্ব হারানোর পাশাপাশি দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যেও নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।
এদিকে সংশ্লিষ্ট মহল মনে করছে, দ্রুত টেকনাফ স্থলবন্দর চালু না হলে সীমান্ত এলাকায় বেকারত্ব ও অপরাধ প্রবণতা আরও বাড়বে। মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। পাশাপাশি অবিলম্বে নিরাপত্তা নিশ্চিত করে বন্দর চালু করুন। হাজারো মানুষ যেন ফিরে পায় তাদের জীবিকা।