ঘুমের ওষুধ খাইয়ে তরুণীর ভিডিও ধারণ, যুবক গ্রেপ্তার
চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় ঘুমের ওষুধ খাইয়ে তরুণীর অশ্লীল ছবি ও ভিডিও ধারণ, পরে ব্ল্যাকমেইল করার অভিযোগে সাদিক হোসেন (২৩) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার মসলেমপুর গ্রামের মুকুল হোসেনের ছেলে। বর্তমানে সাদিক পুলিশের হেফাজতে রয়েছেন।
পুলিশ ও ভুক্তভোগী তরুণীর পরিবার সূত্রে জানা যায়, এক বছর আগে ফেসবুকের মাধ্যমে সাদিকের সঙ্গে আলমডাঙ্গা উপজেলার কালিদাসপুর গ্রামের ওই তরুণীর পরিচয় হয়। মেসেঞ্জারে ঘনিষ্ঠতা বাড়িয়ে নানা প্রলোভনমূলক বার্তা পাঠাতে থাকেন সাদিক।
গত ২৫ জানুয়ারি নিজের জন্মদিন উপলক্ষে সাদিক তরুণীকে আমন্ত্রণ জানান কুষ্টিয়ার ভেড়ামারার আল্লারদরগা এলাকায় তার নানাবাড়িতে। সেখানে গিয়ে কৌশলে তরুণীকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অচেতন করে তার অজান্তে অশ্লীল ছবি ও ভিডিও ধারণ করেন।
পরবর্তীতে সেগুলো হোয়াটসঅ্যাপে পাঠিয়ে তরুণীকে ভয়-ভীতি প্রদর্শন ও ব্ল্যাকমেইল করতে থাকেন। বিভিন্ন সময় দেখা করার জন্য চাপ সৃষ্টি করেন। তরুণী বারবার ছবি মুছে ফেলার অনুরোধ জানালেও সাদিক তা অগ্রাহ্য করেন এবং হুমকি অব্যাহত রাখেন।
গত ২২ সেপ্টেম্বর বিকেলে আলমডাঙ্গা পৌরসভার আল-তাইয়েবা মোড়ে সাদিক তরুণীকে জোর করে সঙ্গে নিতে চাইলে তিনি অস্বীকৃতি জানান। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সাদিক তরুণীকে মারধর করে পালিয়ে যান। পরে ওই তরুণীর স্বামীর হোয়াটসঅ্যাপে কিছু অশ্লীল ছবি পাঠানো হয়, যা থেকে পারিবারিক কলহ শুরু হয়।
সবশেষ, ৬ অক্টোবর বিকেল ৫টার দিকে আলমডাঙ্গা রেলস্টেশনে তরুণীকে জোরপূর্বক নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে তার স্বামী ও আত্মীয়রা সাদিককে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেন।
ভুক্তভোগীর লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে আলমডাঙ্গা থানায় মামলা দায়ের করা হয় (মামলা নম্বর: ১১/২০২৫)। এতে পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১২-এর ৮(১)/৮(২)/৮(৩) ধারা এবং দণ্ডবিধি ১৮৬০-এর ৩২৩ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাসুদুর রহমান বলেন, ‘প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতা মিলেছে। আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।’