স্কুল ছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগে শিক্ষক আটক
- টিডিসি ডেস্ক
- প্রকাশ: ০২ মে ২০১৯, ১০:১৪ PM , আপডেট: ০২ মে ২০১৯, ১০:১৪ PM
গোপালগঞ্জে ছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগে শিক্ষক মিরাজ হোসেন মোল্লাকে আটক করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ওই শিক্ষককে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছে স্কুল কর্তৃপক্ষ।
বুধবার দুপুরে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার বৌলতলী পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ করপাড়া বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ওই শিক্ষককে আটক করা হয়। আটক মিরাজ হোসেন মোল্লা ওই স্কুলের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী শিক্ষক। তিনি ওই স্কুলের ৭ম শ্রেণির এক ছাত্রীর শ্লীলতাহানি ঘটান।
শিক্ষার্থীর পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ এপ্রিল সকাল ১০ টার দিকে শ্রেণি কক্ষে ওই স্কুলের সহকারী শিক্ষক পরিমল বিশ্বাসের জন্মদিন পালন করা হয়। পরিমল বিশ্বাস তার জন্মদিনের কেক কেটে চলে যান। পরে সহকারী শিক্ষক মিরাজ হোসেন মোল্লা ছাত্রীদের জোর করে কেক খাইয়ে দেন। ছাত্রীদের সঙ্গে সেলফি তোলার একপর্যায়ে ওই ছাত্রীর শ্লীলতাহানি ঘটায়।
পরের দিন ওই ছাত্রীর অভিভাবকরা বিষয়টি স্কুল কর্তৃপক্ষকে মৌখিকভাবে জানায়। তারা কোন বিচার না পেয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর গত ২৮ এপ্রিল লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ পেয়ে স্কুল ম্যানেজিং কমিটি এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে ৩০ এপ্রিল জরুরী সভায় বসে। এ সভা থেকে বিষয়টি তদন্তে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। ১ মে বুধবার এ বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিলের সিদ্ধান্ত হয়। পরবর্তী সিদ্ধান্তের জন্য বুধবার স্কুল প্রাঙ্গণে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে স্কুল ম্যানেজিং কমিটি বৈঠকে বসে। এ সময় গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার বৌলতলী পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ স্কুল থেকে ওই শিক্ষককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে। এ ঘটনায় সহায়তাকারী শিক্ষক কৌশলে পালিয়ে যায়।
স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. কামরুল ইসলাম জানান, অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। ম্যানেজিং কমিটির কাছে তদন্ত কমিটি বুধবার দুপুরে প্রতিবেদন দাখিল করে। এ প্রতিবেদনের সুপারিশ ও অন্যান্য দিক বিবেচনা করে শিক্ষক মিরাজ হোসেন মোল্লাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।
গোপালগঞ্জ থানার ওসি মো. মনিরুল ইসলাম জানান, স্কুল ছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগে স্কুলের সহকারী শিক্ষক মিরাজ হোসেন মোল্লাকে আটক করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।