শিক্ষার্থীদের ‘টিউশন সেবা’ গ্রুপ হ্যাকের অভিযোগ

  © সংগৃহীত

শিক্ষার্থীদের টিউশনির ব্যবস্থা করার জন্য ‘টিউশন সেবা’ নামে একটি গ্রুপ খুলেছিলেন কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা। তবে সেই গ্রুপটি জিম্মি করে এখন ‘পাবনাইয়া (পাবনার আঞ্চলিক ভাষার গ্রুপ)’ নামে চালানোর অভিযোগ উঠছে তাজুল ইসলাম নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে। এমনকি সেটি বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহার করারও অভিযোগ করেছেন কোটা সংস্কার আন্দোলনের এক নেতা।

এ নিয়ে ফেসবুকে ছবিসহ একটি স্ট্যাটাস দিয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্লাটফর্ম বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মুহাম্মদ রাশেদ খাঁন। তিনিই পরিকল্পনা করে গ্রুপটি তৈরি করেন।

তিনি লিখেছেন, ‘শিক্ষার্থীদের ‘#টিউশন_সেবা’ গ্রুপটি জিম্মি করে এখন ‘পাবনাইয়া (পাবনার আঞ্চলিক ভাষার গ্রুপ)’ নামে চালাচ্ছে। টিউশন সেবার সাথে সে কৌশলে কাজ করতে আসে। টিউশন সেবায় বেশি পরিশ্রম করার মাধ্যমে সে আমার আস্থা অর্জন করে। কিন্তু তার ভিতরে যে অসৎ উদ্দেশ্য ছিলো সেটি আমি জানতাম না।’

রাশেদ বলেছেন, ‘প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় বর্ষে থাকাকালীন টিউশন পেতে আমার নিজের অনেক বেগ পেতে হয়েছে। একটা পর্যায়ে চতুর্থ বর্ষে এসে মিডিয়ার কাছ থেকে টিউশনি পেতে টাকা দিয়ে প্রতারিত হয়েছি। আমাকে অনেক শিক্ষার্থী টিউশনির জন্য নক করে থাকে। একজন শিক্ষার্থীর জন্য টিউশন কতোটা গুরুত্বপূর্ণ তা আমি জানি। সেই অভিজ্ঞতা থেকে আমি ‘টিউশন সেবা’ চালুর উদ্যোগ গ্রহণ করি।’

তিনি বলেন, ‘টিউশন সকল শিক্ষার্থীর কাছে গুরুত্বপূর্ণ হওয়ার কারণে, অতিদ্রুত তা সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু বর্তমানে টিউশন সেবার মূল গ্রুপটি ছবির এই প্রতারকের হাতে থাকার কারণে টিউশন সেবা টিমের কাজ করতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে।’

রাশেদ আরো বলেন, ‘আমি যেহেতু ক্রিয়েটর ছিলাম, আমার আইডির মাধ্যমে হয়তো গ্রুপটি উদ্ধার করা যেত, তাই আমাকে ব্লক দিয়ে রাখছে। তার সুদূরপ্রসারী বাণিজ্যিক উদ্দেশ্য রয়েছে। গ্রুপটি টিউশন সেবা টিমের হাতে আনার প্রক্রিয়া চলছে, আর সে কারণে সে এখন অন্য একটি বাণিজ্যিক গ্রুপ টিউশন সেবাতে শেয়ার দিয়ে বলছে, এটিও টিউশন সেবার গ্রুপ। পাবনাইয়া গ্রুপ আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। আর তার বাণিজ্যিক CFT- Commission Free Tuition- এর সাথেও আমাদের কোন সংশ্লিষ্টতা নেই।’

আরো পড়ুন: সংগঠনের নাম পরিবর্তন করছেন কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা

জানতে চাইলে সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক মুহাম্মদ রাশেদ খাঁন দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘সাধারণ শিক্ষার্থীদেরকে সাহায্য করার জন্য গ্রুপটা খোলা হয়েছিল। আমার আইডি ঝুঁকিতে থাকায় গ্রুপের দায়িত্ব তাদেরকে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেটা এভাবে জিম্মি করে বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হচ্ছে।’

এ অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে তাজুল ইসলাম দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘আসল ঘটনা বলতে গেলে অনেক সময়ের প্রয়োজন। তবে শুধু এটুকু বলব, আমাকে নিয়ে মিথ্যাচার করা হচ্ছে। অনেকে এটি নিয়ে জানতে চাচ্ছে। আজ রাতে ফেসবুক লাইভে এসে এ ব্যাপারে বিস্তারিত তুলে ধরব।’

তিনি বলেন, ‘রাশেদ ভাই গ্রুপটা খুলেছিলেন সত্য, তবে পরে সেটিকে সাংগঠনিক ভিত্তি আমরা দিয়েছিলাম। এখন তিনি এসব কথা বলছেন।’


সর্বশেষ সংবাদ