ক্লাস রুমে ঢুকে ১২ শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে জখম করলেন সভাপতি
ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া উপজেলার ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে লোহাশহর বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের ১২ শিক্ষার্থীকে ক্লাস রুমে পিটিয়ে জখম করেছেন বিদ্যালয়ের সভাপতি খাইরুল ইসলাম রতন। এ ঘটনায় অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৩ টার দিকে এ ঘটনা ঘটলেও স্থানীয় প্রশাসন কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। বিদ্যালয়ের ১২ শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে আহত করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মশিউল ইসলাম।
স্কুল কর্তৃপক্ষ ও শিক্ষার্থীরা জানান, একই মাঠে দুটি বিদ্যালয় একটি লোহাশহর বাজার উচ্চ বিদ্যালয় অপরটি লোহাশহর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। লোহাশহর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খাইরুল ইসলাম রতন উচ্চ বিদ্যালয়ের এডহক কমিটির সভাপতি। গত বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিকাল তিনটার দিকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ক্লাস বাদ দিয়ে ফুটবল খেলতে দেন শিক্ষক রতন। উচ্চ বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী ফুটবলে লাথি দেয়ার ঘটনায় কথা শুনে শিক্ষক রতন গাছ লাগানোর খুঁটি তুলে ৬ষ্ঠ শ্রেনীর ক্লাশে গিয়ে ১২ শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে আহত করেন। এসময় দুজন শিক্ষার্থী সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়ে। এ নিয়ে উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে ৩টা ২০মিনিটে বিদ্যালয় ছুটি দিয়ে পালিয়ে যান।
আরও পড়ুন: ৬ষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তিতে সুপারিশপ্রাপ্তদের ই-প্রত্যয়নপত্র যাচাইয়ের নির্দেশ
আহত ৬ষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী মাহির জানান, এলোপাথারি পিটুনিতি তার মাথায় আঘাত লেগে মাথা ফুলে যায়। অন্যদের শরীরেও জখম হয়। স্যারেরা প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। পূজার বন্ধ শুরুর দিন এমন ঘটনা ঘটলেও কেউ তাদের খোঁজ নিতে আসেননি।
মাহিরের বাবা আবু তাহের জানান, আমার ছেলেকে লেখা পড়া করার জন্য বিদ্যালয়ে লেখাপড়ার জন্য বিদ্যালয়ে ভর্তি করেছি। গরু পেটা করার জন্য নয়। শিক্ষার্থীদের উপর এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনার জন্য আমি অপরাধীদের বিচার দারি করছি।
বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মশিউল আলম বলেন, ক্লাশ রুমে শিক্ষার্থীদের পিটিয়ে আহত করার ঘটনায় আমরা মর্মাহত। আমরা বিষয়টি উর্ধ্বতন কতৃপক্ষককে জানাব।
ফুলবাড়ীয়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোস্তাফিজুর রহমান জানান, বিষয়টি তাকে কেউ জানাননি। খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।