প্রতিবেশীর গোয়ালঘরে পাওয়া গেল তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রীর বস্তাবন্দী লাশ
জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলায় নিখোঁজের ৪৮ ঘণ্টা পর তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রীর বস্তাবন্দী মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টার দিকে বড়তারা ইউনিয়নের শালবন গ্রামে এক প্রতিবেশীর গোয়ালঘর থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত ছাত্রীর নাম মোছা. তাসনিয়া (১০)। তিনি শালবন গ্রামের এরশাদ আলীর মেয়ে এবং স্থানীয় একটি কিন্ডারগার্টেন স্কুলের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী ছিল।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় বাড়ির সামনে খেলতে বের হয়ে নিখোঁজ হয় তাসনিয়া। অনেক খোঁজাখুঁজির পরও তার সন্ধান না পেয়ে পরদিন বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) তার বাবা ক্ষেতলাল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
শুক্রবার সন্ধ্যার পর গ্রামবাসীরা প্রতিবেশী একরামুল হোসেনের গোয়ালঘর থেকে দুর্গন্ধ পেয়ে সন্দেহ করেন এবং সেখানে গিয়ে একটি বস্তায় তাসনিয়ার লাশ দেখতে পান। এ সময় একরামুল পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে উত্তেজিত লোকজন একরামুলের বাড়ি ঘেরাও করে রাখে এবং ভাঙচুরের চেষ্টা চালায়। পরে রাত ৯টার দিকে সেনাবাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শিশুটির অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে এবং ঘটনাস্থল থেকে দুই নারীকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
ক্ষেতলাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল করিম বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে তাসনিয়াকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য জয়পুরহাট জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার পেছনে কারা জড়িত, তা উদঘাটনে তদন্ত চলছে।