ব্র্যাক ছাত্রী নিহত: আটক উবার চালক, অধরা কাভার্ডভ্যান চালক

আটক উবার চালক সুমন, নিহত লাবণ্য
আটক উবার চালক সুমন, নিহত লাবণ্য

রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় নিহত ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী লাবণ্যের নিহতের ঘটনায় উবার মোটরসাইকেল চালক সুমন হোসেনকে খুঁজে পেয়েছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার মোহাম্মদপুর নবীনগর হাউজিং এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।একইসঙ্গে লাবণ্যকে বহনে ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটিও (ঢাকা মেট্রো হ ৩৬-২৩৫৮) হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। তবে ঘাতক কাভার্ডভ্যান ও চালককে এখনও খুঁজে পায়নি শেরেবাংলা থানা পুলিশ।

পুলিশ জানায়, তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকারের নেতৃত্বে মোহাম্মদপুর নবীনগর হাউজিংয়ের ২নং রোডের ২৫নং বাসার ছয়তলা থেকে সুমনকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়। পরে তাকে সোহরাওয়াদী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। 

নিহত ফাহমিদা হক লাবণ্য (২১) ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই)-এর তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী। লাবণ্যের বাবার ইমদাদুল হক পেশায় ব্যবসায়ী। শ্যামলীতে পরিবারের সঙ্গেই থাকতেন লাবণ্য। তাদের গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ায়। দুই ভাইবোনের মধ্যে বড় ছিলেন লাবণ্য।

ডিসি বিপ্লব কুমার সরকার উবার চালক সুমনের বরাত দিয়ে জানান, ‘ঘটনার দিন সকালে রাজধানীর কলেজ গেটে অবস্থান করছিলেন সুমন। লাবণ্যের কল পেয়ে সকাল ১০টা ৩৬ মিনিটে উবার চালক সুমন তাকে ফোন দেন। লাবণ্য খিলগাঁও ছায়াবীথি মসজিদের সামনে যেতে চান জানিয়ে সুমনকে শ্যামলী ৩নং রোডের ৩১নং বাসার সামনে আসতে বলেন।

তিনি আরও বলেন, জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের কাছাকাছি পৌঁছামাত্র একজন লোককে বাইকের সামনে দৌঁড়ে রাস্তা পার হতে দেখে সুমন ব্রেক করেন। এ সময় একটি কাভার্ডভ্যান পিছন থেকে ধাক্কা দিলে আহত হন লাবণ্য। আহত হন নিজেও। এ ঘটনায় শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা হয়েছে (মামলা নং ৫০)।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) নুরুল ইসলাম জানান, ঘটনার পর উবার চালক সুমন ‘পলাতক’ ছিল। তাকে আটক করা হয়নি। চালক হিসেবে তার অবহেলা বা ইচ্ছাকৃত ভুল ছিল কি-না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুলিশি নজরদারির মধ্যে তিনি সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

তিনি বলেন, ঘটনায় মূল অভিযুক্ত হচ্ছে ঘাতক কাভার্ডভ্যান। সেই কাভার্ডভ্যানের চালক পলাতক। তাকে আটকের চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি।

 


সর্বশেষ সংবাদ