১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৮:৫০

স্কুল শিক্ষার্থীর প্রণোদনার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি  © সংগৃহীত

যশোরের অভয়নগরে ভাটপাড়া মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য বরাদ্দকৃত ‘পারফরমেন্স বেজড গ্র্যান্টস ফর সেকেন্ডারি ইনস্টিটিউশনস’ (পিবিজিএসআই) অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ভুক্তভোগী একাধিক শিক্ষার্থী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর লিখিত অভিযোগপত্র জমা দেয়।

অভিযোগকারীরা জানান, বিদ্যালয়ের নামে পিবিজিএসআই কর্মসূচির আওতায় এক লাখ টাকা বরাদ্দ আসে। এর অংশ হিসেবে ২০ জন শিক্ষার্থীকে পাঁচ হাজার টাকা করে পৃথক চেক দেওয়া হয়। তবে শিক্ষার্থীদের স্বাক্ষর নিয়ে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক অচিন্ত কুমার মণ্ডল ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সেলিম রেজা ব্যাংক থেকে পুরো অর্থ উত্তোলন করলেও হাতে ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে মাত্র ২,৫০০ থেকে ৩,০০০ টাকা। বাকি অর্থ আত্মসাত করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তারা।

এ বিষয়ে ৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থী সুমাইয়া খাতুনের বাবা আলমগীর হোসেন বলেন, ‘আমার মেয়ের নামে পাঁচ হাজার টাকার চেক ইস্যু হলেও হাতে দিয়েছে মাত্র ২,৫০০ টাকা। প্রধান শিক্ষক ও সভাপতি বাকি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। এর বিচার হওয়া দরকার।’ অভিযোগে শিক্ষার্থীরা অনিয়মের তদন্ত ও দোষীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক অচিন্ত কুমার মণ্ডল বলেন, ‘আমাদের স্কুলের অধিকাংশ শিক্ষার্থীর পরিবার দরিদ্র। তাই ২০ জনের জন্য বরাদ্দ অর্থ প্রায় ৫০ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। এখানে কোনো আত্মসাতের প্রশ্নই আসে না।’

বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি সেলিম রেজাও অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘বিদ্যালয়ের ১৩০ জন শিক্ষার্থীর সঙ্গে আলোচনা করেই ২০ জনকে চেক দেওয়া হয়। পরে শিক্ষার্থীরাই টাকা ভাগ করে নিয়েছে। আমি ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি হওয়ায় একটি অভিভাবক চক্র আমাকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে।’

এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘পিবিজিএসআই’র অর্থ ভাগাভাগির কোনো সুযোগ নেই। ইউএনও স্যার আমাকে তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছেন। রোববার থেকে তদন্ত শুরু হবে।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পার্থ প্রতিম শীলকে বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্ট প্রধান শিক্ষক ও সভাপতির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’