স্ত্রীর স্বীকৃতি চেয়ে অগ্নিদগ্ধ হওয়া সেই তরুণীও মারা গেছেন
স্ত্রীর স্বীকৃতি চাওয়া আগ্নিদগ্ধ সেই তরুণী শাহীনুর আক্তার (২২) মারা গেছেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তিনি মারা যান। স্ত্রীর স্বীকৃতি আদায়ে চট্টগ্রাম থেকে লক্ষ্মীপুরে গিয়ে অগ্নিদগ্ধ হন তিনি।
তার মারা যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া সাংবাদিকদেরকে জানিয়েছেন, শাহীনুরের শরীরের ৪০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল।
রোববার রাতে বার্ন ইউনিটের আইসিইউতে ভর্তি করা হয় শাহীনুরকে। চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার সোনাগাজী গ্রামে তার বাড়ি। লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার পাটারিরহাট এলাকায় রোববার আগ্নিদগ্ধের ঘটনা ঘটে। সেখান থেকে তাকে প্রথমে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতাল এবং পরে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়।
লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে শাহীনুর সংবাদকর্মীদের জানিয়েছিলেন, দুই বছর আগে কমলনগরের পাটারীরহাট এলাকার মোহর আলীর ছেলে সালাহ উদ্দিনের সঙ্গে তার প্রেম হয় মোবাইল ফোনের মাধ্যমে। পরে রাউজানে তাদের বিয়ে হয়। তবে তার স্বামী শ্বশুরালয়ে আসা-যাওয়া করলেও কখনই নিজের বাড়ি নেননি।
শাহীনুরের জানিয়েছিলেন, খোঁজখবর নিয়ে গত শুক্রবার রাতে তিনি স্বামীর বাড়ি গিয়ে সালাহ উদ্দিন দুই সন্তানসহ অন্য স্ত্রী নিয়ে সংসার করছেন বলে জানতে পারেন। শাহীনুরকে স্ত্রী হিসেবে অস্বীকার করেন সালাহ উদ্দীন। পরে স্বীকৃতি আদায়ে দুই দিন ধরে এলাকার বিভিন্নজনের কাছে ধর্না দেন।
বিষয়টি চরফলকন ইউনিয়নের চার নম্বর ওয়ার্ড সদস্য মো. হাফিজ উল্যা ও গ্রাম পুলিশ আবু তাহেরকে জানান। তারা সুরাহা করার কথা বলে সময়ক্ষেপণ করেন বলেও অভিযোগ শাহীনুরের। এরইমধ্যে সালাহ উদ্দিন তাদের বাড়ির পাশের একটি সয়াবিন ক্ষেতে ডেকে নিয়ে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেন বলে অভিযোগ করেছিলেন তিনি।
তবে প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে ইউপি সদস্য হাফিজ উল্যা বলেছেন, ওই তরুণী নিজেই নিজের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন।