প্রেমের বিয়ে, স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যার পর স্বামীর আত্মহত্যার চেষ্টা
চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলায় ফুফার বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে গলা কাটা অবস্থায় রেশমা আক্তার (১৮) নামে এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। একই ঘরে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া গেছে তার স্বামী মোহাম্মদ ইব্রাহিমকে (১৯)। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (চমেক) চিকিৎসাধীন রয়েছে ওই ব্যক্তি।
মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাতটার দিকে উপজেলার চরপাথরঘাটা ইউনিয়নের ইছানগর এলাকার ৭ নম্বর ওয়ার্ডে নুর হোসেনের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শরীফ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে রেশমার মরদেহ উদ্ধার করে চমেক মর্গে পাঠায়। একই ঘর থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় তার স্বামী ইব্রাহিমকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তিনি স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যার পর আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। ঘটনার তদন্ত চলছে।
নিহত রেশমা আক্তার নোয়াখালীর মাইজদী এলাকার বাসিন্দা। তিনি স্থানীয় মৃত ইউসুফের মেয়ে। প্রায় এক বছর আগে সিলেটের মোহাম্মদ ইব্রাহিমের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক থেকে তাদের বিয়ে হয়। দম্পতির আট মাস বয়সী একটি কন্যাসন্তান রয়েছে।
নিহতের ফুফু পিয়ারা বেগম (২৬) বলেন, ‘গত ২০ আগস্ট বুধবার রেশমা স্বামী ও সন্তান নিয়ে আমার ভাড়া বাসায় বেড়াতে আসে। আমি ও আমার স্বামী দু’জনেই চাকরি করি, তাই একটি কক্ষ থাকার জন্য দেই। প্রতিদিনের মতো সেদিনও সকালে কাজে যাই। বিকেলে ফিরে এসে দেখি ঘরের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ। অনেক ডাকাডাকির পর সাড়া না পেয়ে স্থানীয়দের সহায়তায় টিন কেটে ভেতরে ঢুকি। দেখি, রেশমার স্বামী ঝুলন্ত অবস্থায় আছে। আর অন্য কক্ষে রেশমার গলাকাটা মরদেহ পড়ে আছে।’
পিয়ারা বেগমের স্বামী মোহাম্মদ সবুজ (৩০) বলেন, ‘এই ১৩ দিনে তাদের মধ্যে কোনো ঝগড়া-বিবাদ দেখিনি। কিন্তু হঠাৎ করে এমন ভয়াবহ ঘটনা ঘটাবে, বুঝে উঠতে পারছি না। আমরা ইব্রাহিমকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাই।’