নীলফামারীর উত্তরা ইপিজেডে সংঘর্ষে গুলিতে শ্রমিক নিহত
নীলফামারীর উত্তরা এক্সপোর্ট প্রসেসিং জোনে (ইপিজেড) শ্রমিকদের সঙ্গে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে এক শ্রমিক নিহত হয়েছেন। নিহতের নাম হাবিব (২১)। তিনি সদর উপজেলার কাজিরহাট এলাকার দুলাল হোসেনের ছেলে এবং ইকো প্লাস্টিক ফ্যাক্টরির শ্রমিক ছিলেন। এ ঘটনায় আরও কয়েকজন শ্রমিক আহত হয়েছেন।
জানা যায়, বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে আন্দোলন করছিলেন উত্তরা ইপিজেডের এভারগ্রীন নামক কারখানার শ্রমিকরা। শ্রমিক অসন্তোষের জেরে গতকাল (১ সেপ্টেম্বর) কারখানাটি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ।
আজ মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) সকালে শ্রমিকেরা ইপিজেডের মূল ফটকে অবস্থান নিয়ে অন্যান্য কারখানার শ্রমিকদের প্রবেশে বাধা দেন। এতে সৈয়দপুর সড়কের দুই পাশে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: ৬৩টি শেষ, ৬৪তম জেলায় যাওয়ার আগে না ফেরার দেশে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ফুয়াদ
এসময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ও সেনা সদস্যরা এগিয়ে এলে শ্রমিকদের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে। একপর্যায়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী গুলি চালায়। এতে হাবিব গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হন। আহতদের উদ্ধার করে নীলফামারী ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের দায়িত্বশীল একজন জানান, হাবিবকে মৃত অবস্থায় আনা হয় এবং আরও কয়েকজন গুলিবিদ্ধ শ্রমিক চিকিৎসাধীন আছেন।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী শ্রমিক আব্দুল ওয়াহিদ বলেন, ‘এভারগ্রীন কোম্পানি বিনা কারণে শ্রমিক ছাঁটাই শুরু করে। আমরা শুধু চেয়েছিলাম, অহেতুক ছাঁটাই না করা হোক এবং ন্যায্য মজুরি দেওয়া হোক। এই সামান্য দাবি-দাওয়ায় আজ প্রাণ গেল একজন সহকর্মীর। এর দায় কে নেবে? আমরা বিচার চাই।’
অন্য এক শ্রমিক শেফালী আক্তার বলেন, ‘আমরা কোনো ভাঙচুর করিনি, কোম্পানির ক্ষতিও করিনি। তাহলে কেন শ্রমিকদের ওপর গুলি চালানো হলো?’