১৭ এপ্রিল ২০১৯, ১৭:৪০

হত্যার পর লাশে আগুন ধরিয়ে দিলেন তিনি!

প্রখ্যাত ব্রিটিশ কবি ও ঔপন্যাসিক স্যার উইলিয়াম গোল্ডিং বলেছিলেন, “মানুষের আদিমতা ও হিংস্রতা সহজাত। বুনো পরিবেশে পেলে মানুষ তার সভ্যতার লেবাস খুলে হিংস্র হয়ে ওঠে।” কিন্তু আমাদের অজান্তেই একবিংশ শতব্দীর বাংলাদেশে যে সেই পরিবেশ তৈরি হয়ে গেল, ফেনীর নুসরাতের পর আজ সংগঠিত মুগদার ঘটনা সেটাই প্রমাণ করলো।

তথ্যমতে, স্ত্রীকে গলা টিপে হত্যার পর কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে এক পাষণ্ড স্বামী। যতদূরত জানা যায়, খুনের আলামত মুছতেই আগুন লাগিয়ে দেন তিনি।  এ ঘটনায় আজ রাজধানীর দক্ষিণ মুগদা থেকে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এর আগে সকালে দক্ষিণ মুগদার ব্যাংক কলোনি এলাকা থেকে গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। মুগদা থানার ওসি প্রণয় কুমার সাহা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নিহত গৃহবধূর নাম হাসি বেগম (২৭)। তার বাড়ি দিনাজপুর জেলায়। তিনি স্বামী কলম হোসেনের সঙ্গে দক্ষিণ মুগদার ব্যাংক কলোনি এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন।

ওসি বলেন, পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রীকে গলাটিপে হত্যা করেন কমল। আলামত মুছে ফেলতে স্ত্রীর লাশে কেরোসিন দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেন তিনি। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।