সেই ওসির বিরুদ্ধে মামলার আবেদন ব্যারিস্টার সুমনের
ফেনীর সোনাগাজীর মাদ্রাসা ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় আলোচনায় আসা সোনাগাজী মডেল থানা পুলিশের সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোয়াজ্জেম হোসেনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করেছেন আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। নুসরাত হত্যার ঘটনায় বিতর্কিত ভূমিকা রাখায় তাকে ইতোমধ্যে প্রত্যাহার করা হয়েছে। আজই এ আবেদনের বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গেছে।
ওই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আজ সোমবার আবেদনটি করেছেন বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে ফেসবুকে লাইভ করে আলোচনায় আসা আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। নুসরাত জাহান রাফির মৃত্যুর পর মোয়াজ্জেম হোসেনের বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভিযোগ উঠেছে।
গত ২৭ মার্চ ওই ছাত্রীকে অধ্যক্ষ শ্রেণিকক্ষে নিয়ে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ উঠলে দুজনকে থানায় নিয়ে যান ওসি মোয়াজ্জেম হোসেন। তিনি নিয়ম ভেঙে জেরা করতে নুসরাতের বক্তব্য ভিডিও করেন। সেখানে নুসরাত ছাড়া অন্য কোনো নারী বা তার আইনজীবীও ছিলেন না। ভিডিওটি প্রকাশ হলে সর্বত্র নিন্দার ঝড় ওঠে।
ভিডিওতে দেখা গেছে, অঝোরে কাঁদছিলেন নুসরাত আর বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দিচ্ছিলেন। তা ভিডিও করার সময় মুখ দু’হাতে ঢেকে রেখেছিলেন নুসরাত। এমনকি ওসি তার মুখ থেকে হাত সরিয়ে কথা বলতে নির্দেশও দেন।
গত ৬ এপ্রিল আলিম পরীক্ষা দিতে গেলে দুর্বৃত্তরা তার গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ ঘটনায় গুরুতর আহত নুসরাত ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ণ ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত বুধবার রাতে মারা যান। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে তার জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলাকে প্রধান আসামি করে এবং আট জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো কয়েকজনকে আসামি করে নুসরাতে ভাই নোমান মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় সিরাজ উদ দৌলা এবং এজাহারভূক্ত অপর ছয়জনসহ এ পর্যন্ত ১৩জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।