রাবি শিক্ষক লিলন হত্যা মামলায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. একেএম শফিউল ইসলাম লিলন হত্যা মামলায় তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া ওই মামলায় আটজনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।
আজ সোমবার (১৫ এপ্রিল) দুপুরে এই রায় দেন দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক অনুপ কুমার। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- আব্দুস সালাম পিন্টু, সবুজ ও আরিফুল ইসলাম মানিক। এদের মধ্যে সবুজ পলাতক রয়েছেন।
২০১৪ সালের ১৫ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়সংলগ্ন চৌদ্দপাই এলাকায় তাকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। পরের দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক মুহাম্মদ এন্তাজুল হক অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে মতিহার থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ড. শফিউল ইসলাম মুক্তমনা ও প্রগতিশীল আদর্শের অনুসারী হিসেবে পরিচিত ছিলেন।
খুনের কয়েক ঘণ্টা পর ফেসবুকে খুনের দায় স্বীকার করে ‘আনসার আল ইসলাম বাংলাদেশ-২’ নামে একটি সংগঠন। পরে তদন্তে বেরিয়ে আসে ব্যক্তিগত কোন্দলের জেরে খুন হন তিনি। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা নাসরিন আখতার রেশমার নাম বেরিয়ে আসে।
হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে রেশমা আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছিলেন। পরে রাজশাহী মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) তৎকালীন পরিদর্শক রেজাউস সাদিক ১১ জনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দেন।
হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে ওই বছরের ২৩ নভেম্বর রেশমার স্বামী আবদুস সামাদ পিন্টুসহ ছয় জনকে গ্রেফতার করে র্যাব। পরে রেশমাকেও গ্রেফতার করা হয়।
রেশমা ও পিন্টু ছাড়াও এ খুনে অভিযুক্ত অন্যরা হলেন, জেলা যুবদলের তৎকালীন আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন উজ্জ্বল, পবা উপজেলার কাটাখালী পৌর যুবদলের নেতা আরিফুল ইসলাম মানিক, সিরাজুল ইসলাম, সবুজ শেখ, আল-মামুন, আরিফ হোসেন, সাগর হোসেন, জিন্নাত আলী এবং ইব্রাহিম খলিল ওরফে টোকাই বাবু। তারা সবাই জামিনে মুক্ত রয়েছেন।