১৩ এপ্রিল ২০১৯, ২০:২৭

চাঁদাবাজি ও ছিনতাইয়ের অভিযোগে ৫ জবি শিক্ষার্থী কারাগারে

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

চাঁদাবাজি ও ছিনতাইয়ের অভিযোগে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করেছে সূত্রাপুর থানা পুলিশ। শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী থানায় চাঁদাবাজি ও ছিনতাইয়ের অভিযোগ করে একটি মামলা দায়ের করে। শনিবার গ্রেপ্তারকৃতদের মহানগর হাকিম আদালতে তুলা হয়। আদালত তাদের জেল হাজতে প্রেরণ করেন।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন নাট্যকলা বিভাগের প্রথম বর্ষের সুব্রত শাহা, পরিসংখ্যান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী অর্পন শান্ত, প্রাণীবিদ্যা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সোয়াদ, দর্শন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী শৈকত, একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী তুহিন। শুক্রবার (১২ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মাস্টার্স শেষ বর্ষের কাজী ফারহান (মন্টু) বাদী হয়ে মামলা দায়ের করে

পুলিশ ও বাদী সূত্রে জানা যায়, ‘সুব্রত ও ফারহান এক মেসে থাকতো। সুব্রত বৃহস্পতিবার রাতে সে মেসে এক মেয়ে আসলে পাড়ার মহল্লার লোকজন তাদের আটক করে। পরে সুব্রত তাকে ছাড়ায়। কিন্তু সুব্রত ভাবে ফারহান মহল্লার লোকজন কে জানিয়েছে। পরদিন সকালে সব্রত তার কিছু বড় ভাই ডেকে এনে ফারহানকে মেস থেকে তুলে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্মাণাধীন ছাত্রী হলের চার তলায় রড দিয়ে পিঠিয়ে টাকা ও মোবাইল ফোন কেরে নেয়। পরে তাকে ছেড়ে দিলে সে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের সাথে কথা বলে চিকিৎসা নিয়ে সূত্রাপুর থানায় মামলা দায়ের করে।’

এ বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর নূর মোহাম্মদ বলেন, পুলিশ আমাদের ঘটনাটি জানিয়েছে। আমরা তাদের বলেছি যদি তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ হয় তবে প্রচলিত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে। তবে কোনো নিরপরাধ শিক্ষার্থী যেনো হয়রানির শিকার না হয়। হলে তাদের জবাব দিহি করতে হবে।

সূত্রাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আশরাফ উদ্দিন বলেন, শুক্রবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী থানায় চাঁদাবাজি ও ছিনতাই’ এর অভিযোগ করে একটি মামলা দায়ের করে। এ ঘটনায় ওই বিকেলে চার শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার হয় এবং শনিবার সকালে এক শিক্ষার্থীসহ পাঁচ শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাদের মহানগর হাকিম আদালতে পাঠানো হলে আদালত তাদেও জেল হাজতে প্রেরণ করে।