নুসরাতের খুনিদের ৯০ দিনের মধ্যে ফাঁসির দাবি
ফেনীর সোনাগাজী ফাজিল মাদরাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফির শ্লীলতাহানি ও পুড়িয়ে হত্যা মামলার আসামিদের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে দৃষ্টান্ত শাস্তি ফাঁসির দাবি জানান বাংলাদেশ অনলাইন অ্যাক্টিভিষ্ট ফোরাম (বোয়াফ)। সেই সাথে যারা রাজনৈতিক ও প্রশাসনিকভাবে ধর্ষক, খুনি সিরাজ-উদ-দৌলা ও তার সঙ্গী-সাথীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়েছে, তাদেরও আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির দাবি তুলেন সংগঠনটি।
শনিবার সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাব চত্বরে ‘ফেনীর সোনাগাজীর মাদরাসাছাত্রী নুসরাতের খুনিদের ৯০ দিনের মধ্যে ফাঁসির দাবিতে এক মানববন্ধন কর্মসূচী পালনের মাধ্যমে এই দাবি জানানো হয়।
বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেন, দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে নুসরাত হত্যার আসামীদের ফাঁসি নিশ্চিত করা এখন দেশবাসীর দাবি। সেই সাথে আইন বর্হিভূতভাবে নুসরাতের ভিডিও ধারণ করায় ফৌজদারী অপরাধী হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনকেও আইনে আওতায় আনা হবে আইনের শাসনের দৃষ্টান্ত।
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা একটি ভালো দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। নুসরাত হত্যার সাথে সম্পৃক্ত বা অপরাধীদের পক্ষপাততুষ্ট স্থানীয় কতিপয় আওয়ামী লীগ নেতাকে বহিষ্কার করেছে। আমি মনে করি, শুধু বহিষ্কার করলেই হবে না, তাদের অপরাধ নির্ণয় করে সে অপরাধের বিচার করা উচিত।
বোয়াফ সভাপতি কবীর চৌধুরী তন্ময় বলেন, নুসরাতের মৃত্যুকালীন ঘোষণা বা ডাইং ডিক্লারেশন, নুসরাতের খাতার পাতার লেখাগুলো আজ মিডিয়া ও স্যোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল যা মামলার গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট হিসেবে গণ্য। সেই সাথে আইন-বহির্ভূতভাবে শ্লীলতাহানির শিকার নুসরাতের ভিডিও ধারণ করায় ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের ২৬ ধারা অনুসারে ফৌজদারি অপরাধ করেছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোয়াজ্জেম হোসেন। তাকেও আইনের আওতায় এনে জিজ্ঞাসাবাদসহ তার অপরাধের বিচার করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, নুসরাতের শ্লীলতাহানির ঘটনা, ঘটনার পরবর্তী পরিকল্পনায় আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করা, হত্যা সংঘটিত ব্যক্তি ও মহল, দীর্ঘদিন ধরে বিতর্কিত অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ-দৌলাসহ ওইসব অপরাধীদের সামাজিক, রাজনৈতিক, প্রশাসনিকসহ খোদ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান-সোনাগাজী ফাজিল মাদ্রাসার কে বা কারা আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়েছে-এইসব ডকুমেন্টও জনগণের মুখে-মুখে। তাই নুসরাত হত্যা মামলার আসামীদের শাস্তি নিশ্চিত করতে ৩০ দিনই যথেষ্ট। কালক্ষেপন না করে, আরেকটি জীবন ঝড়ারনোর আগেই দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে ধর্ষক-খুনিদের ফাঁসি নিশ্চিত করে অপরাধ প্রবনতারোধে তার কঠোর বার্তা ছড়িয়ে দিতে হবে।
মানববন্ধনে সংহতি জানিয়েছে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ বুড্ডিস্ট ফেডারেশনের নির্বাহী সভাপতি-অশোক বড়ুয়া, সাংস্কৃতিক ব্যক্তি মোহাম্মদ ফয়সাল আহসানউল্লাহ, আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য-মুফতী মাসুম বিল্লাহ নাফী, জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগের সভাপতি-এমএ জলিল, বাকশালের মহাসচিব-কাজী মোহাম্মাদ জহিরুল কাইয়ূমসহ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।