ডেমরায় মাদ্রাসা ছাত্র মনির হত্যার ঘটনায় আটক তিন
রাজধানীর ডেমরা এলাকায় ৮ বছরের শিশু মাদ্রাসা ছাত্র মনির হোসেন হত্যায় জড়িত থাকার সন্দেহে তিনজনকে আটক করা হয়েছে। রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে মঙ্গলবার রাতে তাদেরকে আটক করা হয়। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে নূরে মদিনা মাদ্রাসার অধ্যক্ষও রয়েছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মেট্রপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত উপকমিশনার ওবায়দুর রহমান । গ্রেফতারকৃতরা হলেন- অধ্যক্ষ আবদুল জলিল হাদী ওরফে হাদিউজ্জামান এবং দুই শিক্ষার্থী আকরাম হোসেন ও আহমদ শফী ওরফে তোহা।
পুলিশ জানিয়েছে, গত ৭ এপ্রিল নূরে মদিনা মাদ্রাসার শিশু শ্রেণির ছাত্র মনির হোসেন মাদ্রাসা থেকে নিখোঁজ হয়। ৮ এপ্রিল সন্ধ্যায় মসজিদ থেকে তার লাশ উদ্ধার হয়। পর দিন মনিরের বাবা সাইদুল হক তিনজনকে আসামি করে ডেমরা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এ হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়ে প্রাথমিকভাবে কয়েকজনের সম্পৃক্ততার তথ্য পেয়েছে পুলিশ। তাদের মধ্যে এ তিনজনও রয়েছেন।
আরো পড়ুন: ৩ লাখ টাকার মুক্তিপণের লোভে মাদ্রাসা ছাত্রকে হত্যা
তিন লাখ টাকার মুক্তিপণ নেওয়াকে কেন্দ্র করে রাজধানীর ডেমরার ডগাইর এলাকার নূরে মদিনা মাদ্রাসার ছাত্র মনির হোসেনকে (৮) ওই মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আবদুল জলিল হাদী ও দুই সিনিয়র ছাত্র মিলে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। হত্যার পর লাশের পরিচয় লুকাতে চোখ উপড়ে ফেলা হয়।
পরিকল্পনা করা হয় লাশটি দুরে কোথায়ও ফেলে দিয়ে রাখা হবে। কিন্তু এলাকায় পুলিশের তল্লাশি বেড়ে যাওয়ায় মসজিদের শিড়িতেই শিশু মনিরের লাশ ফেলে রেখে পালিয়ে যাবার সিদ্ধান্ত নেয় অধ্যক্ষ আব্দুল জলিল হাদি। কিন্তু তার পালানোর আগেই পুলিশ তাকে সন্দেভাজন মনে করে আটক করে। আটকের পর পুলিশের কাছে হত্যার দায় স্বীকার করেন।
এদিকে, শিশু মনিরের বাবা সাইদুল হক ওই তিনজনকে আসামি করে মঙ্গলবার ডেমরা থানায় মামলা করেছেন। মামলার এজাহারভুক্ত অপর দুই আসামিকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে। অপর দিকে, শিশু মনির হত্যার জড়িতদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবিতে এলাকাবাসী মাদ্রাসা এলাকায় মানববন্ধন করেন।