মোড়ানো বস্তা নয়, এখানে কোমলমতি শিশুর লাশ!
রাজধানীর ডেমরা এলাকায় এক শিশুকে নির্মমভাবে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। সেখানকার একটি মসজিদ থেকে ওই শিশুর গলাকাটা লাশ উদ্ধার করা হয়। ঘটনার পর ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ওই মক্তব্যের হুজুরকে পিটিয়ে পুলিশে দিয়েছে। এঘটনায় মোট চারজনকে পুলিশ আটক করেছে বলে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে মঙ্গলবার দুপুরে ডেমরা থানার ডিউটি অফিসার ওসমান গনি দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানান, ‘একটি শিশুর লাশ গতকাল (সোমবার উদ্ধার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে পরে আরও বিস্তারিত জানানো হবে।’
জানা গেছে, ডেমরায় অপহরণের দুই দিন পর মনিরুল ইসলাম (৭) নামে এক ছেলে শিশুর বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার করেছে ডেমরা থানা পুলিশ। সোমবার বিকেলে ডেমরার বাঁশেরপুল ডগাইর এলাকার নূরে আয়েশা সিদ্দিকিয়া মাদরাসার নির্মাণাধীন মসজিদ থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করা হয়।
মৃত মনিরুল ইসলাম ওই মাদরাসার ছাত্র ও ডেমরার ডগাইর নতুনপাড়া এলাকার সামসু মিয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া মো: সাইদুল হকের ছেলে। তাদের গ্রামের বাড়ি বি-বাড়িয়ার শরাইল থানার বিটগর গ্রামে।
ওই শিশুর হারিয়ে যাওয়া থেকে শুরু করে হত্যার ঘটনার মর্মান্তিক বর্ণনা দিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন মিমি হাবিবা নামে একজন। সেটি হুবহু তুলে ধরা হল- ‘আজকের একটি সত্য ঘটনা শেয়ার করি।।ঢাকা যাত্রাবাড়ি থেকে একটু ভিতরে ডেমরার মধ্যে ডগাইর নামক ছোট একটি এলাকায় ছোট একটি বাসার ছোট একটি ঘরে থাকতো ছোটি একটি শিশু, বয়স সাত হবে। ছোট বাচ্চা কিছু বুঝে না একটু দুষ্টামি করতো মা বকা দিতো, কিন্তু বাবা আদরে ভরিয়ে রাখতো। এখন আর কেউ দুষ্টামি করবে না। এখন আর ছোট বাচ্চাটাকে বকা খেতে হবে না।
বাচ্চাটি প্রতিদিনের ন্যায় দুপুরে মসজিদের মকতবে পড়তে যায়। যাওয়ার সময় মায়ের সাথে শেষ কথা হয় শেষ দেখা হয়। কে জানতো মসজিদে থাকা এক হুজুর, এক কসাই জন্য অপেক্ষা করছে তার গলা কাটার জন্য। সব বাচ্চা মকতব ছুটি পরে চলে গেলো। কিন্তু ঐই শিশুটা গেলো না। মা চিন্তায় পড়ে যায় কত খোঁজাখুঁজি শুরু করে দেয়।
বিকেলে ফোন আসে শিশুটির পরিবারের কাছে। ফোনে থাকা অপর ব্যাক্তি বলে, বাচ্চা চাইলে তিন লক্ষ টাকা সন্ধ্যার মধ্যে যদি মসজিদের খাটিয়ার মধ্যে রেখে না যায়, সকালে ছেলের লাশ পাবে। গরিব বাবা মা কোন মতে এক লাখ ২০ টাকা যোগাড় করে ঠিক মসজিদের খাটিয়া উপর রেখে আসে। কিন্তু সকালে সন্তান আর বাসায় ফিরে না।
এরমধ্যে এলাকায় মানুষের কাছে টাকা দেওয়ার কথা জানাজানি হলে সবার সন্দেহ হয় হুজুরের উপর। সন্দেহ বাড়তে থাকায় এলাকাবাসী দুপুরে ডেমরা পুলিশকে ফোন দিয়ে ঘটনা জানালে তারা এসে যখন হুজুরকে ধমক দিয়ে জিজ্ঞাস করে, তখন সে ভয় পেয়ে দৌড় দেয় পুলিশ এবং জনগণ দৌড় দিয়ে তাকে ধরে।
কিছু মারধর দেওয়ার পর সে শিকার করে শিশুটি তার কাছে। পরে আরো মারার পরে বলে শিশুটি মসজিদের দ্বিতীয় তলার সিড়ির নিচে। সিড়ির নিচে যা ছিলো তার জন্য কেউ প্রস্তুত ছিলো না, বিশেষ করে সন্তানের পিতা মাতা। বস্তাবন্দি হয়ে পড়ে আছে শিশুটি, গলা ধারালো ছুরি দ্বারা কাটা, পা দুটো তার বাঁধা এবং হাতটা কাটা। অবাক করা কান্ড হলো, ছেলেটি যেদিন হারিয়েছে মানে রোববার সন্ধ্যার পরে- হুজুরে ছেলেও শিশুটির থেকে তিন বছরের বড়। তার সামনে শিশুটিকে গলাকেটে হত্যা করা হয়েছে।
আসলে আমাদের সন্তান কোন জায়গায় সুরক্ষিত না।’