ছাত্রলীগ-আওয়ামী লীগের সঙ্গে হামলায় অংশ নেন স্থানীয় মহিলারাও
গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) এক জনসভা শেষে কেন্দ্রীয় নেতাকর্মীরা ফেরার পথে তাদের নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের দ্বারা এনসিপির নেতাকর্মীদের গাড়িবহরে হামলার ঘটনা ঘটেছে। উত্তপ্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।
আজ বুধবার (১৬ জুলাই) গোপালগঞ্জে দিনভর সংঘর্ষের ঘটনা চলে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ চলছে।
সংঘর্ষে ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের পাশাপাশি স্থানীয় বহু নারীও অংশ নেয়। স্থানীয় সাংবাদিকরা জানান, সংঘর্ষ চলাকালীন আশপাশের গ্রাম ও পাড়া-মহল্লায় মাইকে ঘোষণা দিয়ে দলীয় কর্মীদের জড়ো করা হয়। সেই ডাকে সাড়া দিয়ে বহু নারী লাঠিসোঁটা, ইট-পাটকেল নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন এবং সরাসরি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সাংবাদিকদের ওপর হামলা চালান।
দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসের গোপালগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি জানিয়েছেন, তিনি এমন পরিস্থিতি আগে কখনও দেখেননি। পুলিশ ও সাংবাদিকদের ওপর মহিলারাও ঝাঁপিয়ে পড়ে, এ সময় ভয়ংকর এক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। তারা কোনরকম সেখান থেকে নিরাপদে অন্যত্র চলে যান।
তিনি বলেন, ‘সংবাদ কাভার করতে আমি ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলাম, হটাৎ করে এক মহিলা পুলিশকে মারতে তেড়ে আসেন। পুলিশ সদস্য সরে গেলে আমার মাথায় বাঁশ দিয়ে আঘাত করেন ওই মহিলা। ওই সময় আরও অনেক মহিলা সংঘর্ষে সরাসির অংশ নেয়। বর্তমানে আমি হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছি। আমার মাথায় এখনও অনেক ব্যথা রয়েছে।’
এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪ নিহহের খবর জানিয়েছে বিবিসি বাংলা। আহত হয়েছেন অন্তত শতাধিক।
এদিকে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠায় আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখতে গোপালগঞ্জে আজ বুধবার (১৬ জুলাই) রাত ৮টা থেকে কারফিউ জারি করা হয়েছে। চলবে আগামীকাল অর্থাৎ ১৭ জুলাই পর্যন্ত। সন্ধ্যায় এক ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব এ তথ্য জানিয়েছেন।
ফেসবুক পোস্টে তিনি বলেন, ‘গোপালগঞ্জে আজ রাত ৮টা হতে পরবর্তী দিন বিকাল ৬টা পর্যন্ত কারফিউ জারি করা হয়েছে।’ এর আগে দুপুরে জেলার কিছু এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। সেই সঙ্গে ৪ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়।