মাগুরায় সাবেক ছাত্রদল নেতাকে আটক, পরে বাড়ি থেকে অস্ত্র ও মাদক উদ্ধার
মাগুরা জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এম এম আবু তাহের ওরফে সবুজকে আটক করেছে সেনাবাহিনী। পরে তার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে অস্ত্র ও মাদকদ্রব্য উদ্ধারের দাবি করেছে যৌথ বাহিনী। মঙ্গলবার (২৪ জুন) দুপুরে শহরের ভায়না এলাকা থেকে তাকে আটক করে সেনাবাহিনীর একটি দল। পরে বিকেলে মাগুরা সদর থানায় তাকে হস্তান্তর করা হয়।
মাগুরা সেনা ক্যাম্প সূত্রে জানা গেছে, একই দিন বিকেল তিনটার দিকে পৌরসভার ভিটাসাইর এলাকায় আবু তাহেরের বাড়িতে যৌথ অভিযান চালানো হয়। অভিযানে বাড়ির শৌচাগারের ছাদে রাখা একটি ব্যাগ থেকে একটি ওয়ান শুটারগান, একটি গুলি ও ১৫টি ইয়াবা ট্যাবলেট এবং ঘরের ভেতর থেকে একটি রামদা উদ্ধারের কথা জানায় বাহিনী।
এর আগে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শহরের ভায়না এলাকা থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিলের প্রস্তুতির সময় আবু তাহেরকে আটক করে সেনাবাহিনী। ঘটনাস্থল থেকে মাগুরা সেনা ক্যাম্পের কমান্ডার মেজর শাফিন সাংবাদিকদের বলেন, তার বিরুদ্ধে অনেকগুলো অভিযোগ আমাদের কাছে ছিল। বিভিন্ন সময়ে ১৩ থেকে ১৪টা লিখিত অভিযোগ আমরা পেয়েছি। সে জমি দখলসহ নানা রকম নাশকতামূলক কার্যক্রম করে আসছে। তার বাসায় আমরা একবার অভিযান চালিয়েছিলাম। তখন তার বাসায় তেমন কিছু আমাদের চোখে পড়েনি। কিছু মাদকদ্রব্য ছিল হালকা–পাতলা। তখন তাকে সতর্ক করে ছেড়ে দেওয়া হয়।
এই সেনা কর্মকর্তা আরও বলেন, আমাদের কাছে তথ্য ছিল, আগের দিন (১৫ জুন দিবাগত রাতে) আবু তাহেরের বাসায় যৌথ বাহিনীর অভিযানের বিরুদ্ধে একটি বিক্ষোভ মিছিল করার প্রস্তুতি চলছিল। সবচেয়ে অ্যালার্মিং বিষয় হচ্ছে, তার পরিকল্পনা ছিল, ওখান (ভায়না এলাকা) থেকে মিছিল নিয়ে ক্যাম্পের সামনে যাওয়া। তার চেয়ে খারাপ যে জিনিস ছিল, সেটা হচ্ছে বিএনপির ব্যানার ব্যবহার করে সে এটা করতে চেয়েছিল; কিন্তু আমরা ওখানে গিয়ে যেটা জানতে পারলাম, ওখানে বিএনপির কোনো লোকজন ছিল না। যাদের ওখানে আনা হয়েছিল, তারা কেউ দুই হাজার টাকা, দেড় হাজার টাকা বা কাউকে মোটরসাইকেলে তেল ভরে দেওয়ার কথা বলে আনা হয়েছিল।
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আলী আহমেদ মুঠোফোনে গণমাধ্যমকে বলেন, সবুজ (আবু তাহের) দলের দুঃসময়ের পরীক্ষিত ছাত্রদল নেতা। আগে তার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে কিছু পায়নি। আজ আবার তার বাড়িতে অভিযানে টয়লেটের ছাদ থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় অস্ত্র পেয়েছে। এটা ষড়যন্ত্রমূলকভাবে কেউ রেখে যেতে পারে। বিষয়টি নিয়ে আমরা সন্দিহান। এটা সঠিক তদন্ত করে দেখা উচিত।
মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আইয়ুব আলী গণমাধ্যমকে বলেন, ছাত্রদলের ওই নেতাকে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে।