সুবর্ণচরের সেই ধর্ষণ মামলায় ১৬ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল
নোয়াখালীর সুবর্ণচরে গত ৩০ ডিসেম্বর ভোটের রাতে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষনের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে। মামলার এজাহারভুক্ত ৯ আসামি ছাড়াও তদন্তে ঘটনার সঙ্গে আরও সাত জনের সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়া যায়। তদন্ত শেষে মোট ১৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।
চার্জশিটভুক্তদের মধ্যে ১১ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের মধ্যে আটজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জাকির হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) বুধবার বিকালে জেলার দুই নং আমলী আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নবনীতা গুহের কাছে এ অভিযোগপত্র দাখিল করেছে।
জাকির হোসেন আরও জানান, তদন্তে জড়িত সন্দেহে আরও পাঁচ জনকে আটক করা হয়েছে। এরা হলেন, মূল ইন্ধনদাতা রুহুল আমিন (সাবেক মেম্বার), মূল হোতা হাসান আলী ভুলু, জসীম উদ্দিন ওরপে জইস্যা, মুরাদ ও হেঞ্জু মাঝি (২৯)। এছাড়া বাকি দুই জনের নাম তদন্তের স্বার্থে প্রকাশ করা যাচ্ছে না।
উল্লেখ্য, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার একটি কেন্দ্রে ভোট দেওয়াকে কেন্দ্র করে সাবেক ইউপি সদস্য ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা রুহুল আমিনের সহযোগীদের সঙ্গে এক নারী ভোটারের কথা কাটাকাটি হয়। ওইদন রাতে রুহুল আমিনের সহযোগীরা বাড়িতে প্রবেশ করে স্বামী সন্তানকে আটকে রেখে ওই নারীকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ করেন ওই নারীর পরিবার।
এ ঘটনায় ধর্ষণের শিকার নারীর স্বামী বাদী হয়ে সোহেল, হানিফ, স্বপন, চৌধুরী, মোশারেফ, বাদশা আলম ওরপে কুড়াইল্যা বাসু, সালাউদ্দিন, বেচু ও আবুলকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। এছাড়া তদন্তে জড়িত সন্দেহে পাঁচজন জনকে আটক করা হয়েছে। এরা হলেন,সন্দেহভাজন মূল ইন্ধনদাতা রুহুল আমিন (সাবেক মেম্বার), সন্দেহভাজন মূল হোতা হাসান আলী ভুলু, জসীম উদ্দিন ওরপে জইস্যা, মুরাদ ও হেঞ্জু মাঝি।