পিরোজপুরে দু’পক্ষের সংঘর্ষে ছাত্রলীগ কর্মী নিহত
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় আওয়ামী লীগের দু‘গ্রুপের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে জনি নামে ছাত্রলীগের এক কর্মী নিহত হয়েছেন। সোমবার সকালে আওয়ামীলীগ মনোনিত প্রার্থী হোসাইন মোশারেফ সাকু ও বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী রিয়াজউদ্দিন আহমেদের সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এর আগে শনিবার গভীর রাতে বিদ্রোহী প্রার্থীর কর্মীরা হামলা করে নৌকার প্রার্থী হোসাইন মোসারেফ সাকু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হলতা-গুলিশাখালী ইউপি চেয়ারম্যান রিয়াজুল আলম ঝনোসহ ১৯ জনকে কুপিয়ে জখম করে বলে অভিযোগ উঠেছে। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিনও তাদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছিল।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মোসারেফ সাকু তার সমর্থকদের নিয়ে গুলিশাখালী বাজারে জনসংযোগে গেলে আনারস প্রতীকে আ’লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ এর সমর্থকেরা পেছন থেকে হামলা করে। এসময় ধারালো অস্ত্র দিয়ে মোসারেফ সাকুর পায়ে ও হাতে কোপায়। এতে মোসারেফ সাকুর ডান হাতের দুটি আঙুল এবং পায়ের গোড়ালি জখম হয়েছে। এছাড়া তার শরীরের বিভিন্ন অংশে রড দিয়ে আঘাত করা হয়েছে।
মঠবাড়িয়া উপজেলা আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হলতা-গুলিশাখালী ইউপি চেয়ারম্যান রিয়াজুল আলম ঝনোর মাথায় কোপ লেগে তিনি গুরুতর আহত হয়েছেন। এ সময় মোসারেফ সাকুর আরো ১৭ জন সমর্থক আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। এরমধ্যে কয়েক জনকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতরা সবাই মঠবাড়িয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা-কর্মী।
এ বিষয়ে মঠবাড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ শওকত আনোয়ার সাংবাদিকদেরকে জানান, হামলার সাথে জড়িত সন্দেহে সাতজনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার পর সোমবার আবার সংঘর্ষ হলে ১০/১২ জন আহত হয়। এরমধ্যে গুরুতর আহত জনিকে বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।