সাবেক সচিবের গাড়িতে মদের চালান, খুলনা এসে আটক ২
প্রাইভেটকারের সামনে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মনোগ্রাম যুক্ত ছিল, সামনে লেখা ছিল ‘জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়’। সাদা রঙের ওই প্রাইভেটকারটিতে যাত্রীবেশী মাদক বহনকারী ব্যক্তিকে দেখে মনে হচ্ছিল না মন্ত্রণালয়ের কেউ। গাড়িটির মালিক একজন সাবেক সচিব। গাড়ি থেকে ৮০ বোতল মদ জব্দ করা হয়েছে।
গতকাল বুধবার (১৪ মে) রাত সাড়ে ৯টার দিকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের একটি দল রূপসা সেতুর টোল প্লাজায় চালানটি জব্দ করে। গাড়িতে ছিল বিদেশি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ৩৪ বোতল এবং দেশি কেরু অ্যান্ড কোম্পানির ৪৬ বোতল মদ। এসময় দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন মো. আব্দুর রহিম শরীফ(৫৩) এবং গাড়িচালক মো. ওহাব শিকদার(৬০)। শরীফের বাড়ি ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার প্রতাপ এলাকায়। বর্তমানে থাকেন ঢাকার কামরাঙ্গীরচর এলাকায়। প্রাইভেটকার চালক মো. ওহাব শিকদার ফরিদপুরের নগরকান্দার স্থায়ী বাসিন্দা হলেও বর্তমানে ঢাকার লালবাগের আমরেগোলা এলাকায় বসবাস করেন।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর জানায়, তারা ঢাকার একটি চক্র থেকে মদ সংগ্রহ করে মাঝেমধ্যে ভাড়া করা প্রাইভেটকারে করে খুলনায় এসে আরেকটি চক্রের কাছে সরবরাহ করেন। তারা মূলত চালান নিয়ে জিরো পয়েন্টে আসেন। সেখানে ঢাকার চক্রের কাছ থেকে গাড়ির নম্বর পেয়ে খুলনার চক্রটি তাদের শনাক্ত করে বিশেষ কৌশলে অন্য গাড়িতে মদগুলো তুলে নিয়ে যায়। খুলনায় কারা এর সঙ্গে জড়িত, তাদের কারও নাম বলতে পারেননি দুজন। অবশ্য মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কাছে আটক হওয়ার পর শরীফের মোবাইল ফোনে জামাল নামের একজন হোয়াটসঅ্যাপে একাধিকবার কল দেন। তবে শরীফের দাবি, জামাল নামে কাউকে তিনি চেনেন না।
প্রাইভেটকার চালক মো. ওহাব শিকদার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সদস্যদের কাছে জানান, তিনি একজন অবসরপ্রাপ্ত সচিবের গাড়ির ড্রাইভার। ওই সচিবের নাম রাশেদ খান। যার বাড়ি মানিকগঞ্জ এবং সেখানে রাশেদ খানের নামে একটি কলেজও রয়েছে। তবে গাড়িটি রাশেদ খানের স্ত্রী রাবেয়া খাতুনের নামে। রাবেয়া খাতুন একজন স্কুল শিক্ষক।