১৯ মার্চ ২০১৯, ১৩:০৭

ঘাতক বাসের পারমিট বাতিলসহ ১২ দফা দাবি শিক্ষার্থীদের

  © সংগৃহীত

রাজধানীর প্রগতি সরণিতে সুপ্রভাত পরিবহনের একটি বেপরোয়া বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র আবরার আহমেদ চৌধুরীর নিহত হওয়ার ঘটনায় ঘাতক বাস কোম্পানীর রুট পারমিট বাতিল, নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করাসহ নানা দাবি জানিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। দুপুরে রাজধানীর যমুনা ফিউচার পার্কের সামনে সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন চলাকালে তারা এ দাবি জানান।

সকালে সেখানে সড়ক দুর্ঘটনায় বাংলাদেশ ইউনির্ভাসিটি অব প্রফেশনালস্ (বিউপি) এর আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ছাত্র আবরার নিহত হন। ভাটারা এলাকায় রাস্তা পরাপারের সময় তাকে চাপা দেয় সুপ্রভাত পরিবহনের ওই বাসটি। ঘাতক বাসচালককে আটক করেছে পুলিশ।

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের একপর্যায়ে দুপুরে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম ঘটনাস্থলে গিয়ে অবরোধ তুলে নেওয়ার অনুরোধ জানালেও তারা তা মানেননি। তিনি বাসচালকের শাস্তি নিশ্চিত করা ও নিহত শিক্ষার্থীর নামে সেখানে একটি পদচারী-সেতু নির্মাণের আশ্বাস দিলেও শিক্ষার্থীরা আন্দোলন চালিয়ে যান। এসময় নিরাপদ সড়কের দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন তারা।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দাবির মধ্যে রয়েছে, ১০ দিনের মধ্যে সুপ্রভাত বাসের চালক, হেলপার ও মালিকের ফাঁসি, সু-প্রভাত ও জাবালে নূরসহ দুর্ঘটনা ঘটানো বাস কোম্পানীর রুট পারমিট বাতিল, চালক হেলপারের ডোপ টেস্ট, বাসসহ গণপরিবহনের চালক-হেলপারের আইডি কার্ড প্রদর্শন করা, জেব্রা ক্রসিং, আন্ডারপাস নির্মাণসহ নিহত আবরারের নামে ফুটওভার ব্রিজ করা, জেব্রাক্রসিংয়ের সামনে ক্লোজড সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা স্থাপন ইত্যাদি। বিইউপি’র তৃতীয় বর্ষের ছাত্র অনিক হাসানসহ অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী মেয়রের সঙ্গে কথা বলে লিখিতভাবে ১২ দফা দাবি পেশ করেন।

মেয়র আতিকুল ইসলাম, ‘দেশের প্রচলিত আইনে বাসচালকের সর্বোচ্চ সাজা নিশ্চিত করা হবে। সুপ্রভাত পরিবহনের কোনো বাস ওই রুটে চলতে দেওয়া হবে না। নিহত আবরারের নামে সেখানে তিন-চার মাসের মধ্যে একটি পদচারী-সেতু নির্মাণ করে দেওয়া হবে।’

তিনি আরো বলেন, ‘খুব শিগগির ছয়-সাতটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে রাজধানীর বাস চলাচল একটি পদ্ধতির আওতায় আনা হবে।’ এসময় অবরোধ তুলে নেওয়ার আহবান জানালেও শিক্ষার্থীরা তাতে সাড়া দেননি। পরে মেয়র সেখান থেকে চলে যান।