নিহত আবরারও নিরাপদ সড়ক চেয়েছিলেন
আবরার আহমেদ চৌধুরী। বাংলাদেশ ইউনির্ভাসিটি অব প্রফেশনালস্ (বিউপি) এর আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ছাত্র ছিলেন। দেশের আর দশজন সচেতন নাগরিকের মতো আবরারও সড়কে মৃত্যুর মিছিল নিয়ে উদ্বেগে ছিলেন। চেয়েছিলেন নিরাপদ সড়ক। সেই সড়কেই প্রাণ দিতে হলো সম্ভাবনাময় এই তরুণকে।
রাজধানীর প্রগতি সরণিতে সুপ্রভাত পরিবহনের একটি বেপরোয়া বাস কেড়ে নিয়েছে আবরারের প্রাণ। সোমবার সকাল সোয়া ৭টার দিকে ভাটারা এলাকায় রাস্তা পরাপারের সময় তাকে চাপা দেয় সুপ্রভাত পরিবহনের ওই বাসটি। ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। পরে নিহত ছাত্রের মরদেহ কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আবরারের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে গিয়ে দেখা যায়, নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনের দাবি জানিয়েছিলেন তিনি। সে দাবি নিজের ছবির সাথে যুক্ত করে ফেসবুকে পোস্টও করেছিলেন। কিন্তু সেই সড়কের ঘাতক বাসই কেড়ে নিল আবরারের জীবন।
প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্টস অ্যালায়েন্স অব বাংলাদেশ (পিইউএসএবি) নামে একটি ফেসবুক পেজে লেখা হয়েছে, ‘ছেলেটার দাবি বেশি কিছু ছিল না, আর ১০ জনের মত এই শহরে বেঁচে থাকতে নিরাপদ সড়কের দাবি ছিলো আমাদের আবরারের। কিন্তু হায়, কি নির্মম...সেই সড়কেই প্রাণ গেল তার।’
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, একই পরিবহনের অপর একটি বাসকে ওভারটেক করার জন্য চালক বেপরোয়া গতিতে বাসটি চালাচ্ছিলেন। দুর্ঘটনার পর নিহত ছাত্রের সহপাঠীরা বাসটি আটক করে। এসময় চালক বাস ফেলে পালানোর চেষ্টা করলে তাকে আটক করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। তবে হেলপার পালিয়ে যায়।
এদিকে, ছাত্র নিহত হওয়ার ঘটনায় কুড়িল বিশ্বরোডের নর্দা এলাকায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় সুপ্রভাত পরিবহনের সব বাস আটক করে রাস্তা বন্ধ করে মিছিল করতে থাকেন বিক্ষুদ্ধ তারা। এ দুর্ঘটনার সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন আন্দোলনকারীরা। এতে ওই এলকা দিয়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে বাসযাত্রীদেরকে পায়ে হেটে গন্তব্যের উদ্দেশে যাত্রা করতে দেখা গেছে।
ঘটনাস্থলে আসা গুলশান থানার এসআই মোশাররফ হোসেন বলেন, ঘাতক বাসটি আটক করে থানায় নিয়ে পাঠানো হয়েছে।