ঢাবির ১০০ শিক্ষার্থীর তথ্য চেয়ে সিআইডির চিঠি
- ঢাবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১১:৩৩ AM , আপডেট: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১২:২৬ PM
প্রশ্ন ফাঁস, ডিজিটাল জালিয়াতিসহ বিভিন্ন অভিযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে ১০০ শিক্ষার্থীর তথ্য চেয়েছে পুলিশের অপরাধ ও তদন্ত শাখা (সিআইডি)। এসব শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে প্রতারণা করে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করানোরও অভিযোগ রয়েছে। গত রবিবার এক চিঠিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টারের নিকট এসব শিক্ষার্থীর তথ্য চাওয়া হয়েছে।
সিআইডি এসব শিক্ষার্থীর যে তথ্য চেয়েছে তারমধ্যে রয়েছে, পূর্ণাঙ্গ নাম, ঠিকানা, শিক্ষাবর্ষ, ইউনিট, বিষয়, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফল, সেমিস্টারভিত্তিক পরীক্ষার ফলাফল এবং পুনঃভর্তির বিস্তারিত। সিআইডির সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার সুমন কুমার দাশের স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়েছে, ২০১৭ সালের ২০ অক্টোবর শাহবাগ থানায় হওয়া ২৬ নম্বর মামলার সূত্রে তদন্তের স্বার্থে উল্লিখিত শিক্ষার্থীদের তথ্য পাওয়া প্রয়োজন। ওই বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁস ও ডিজিটাল জালিয়াতির অভিযোগ ওঠায় সিআইডি বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেছিলো।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্টার এনামউজ্জামান বলেন, সিআইডির নিকট থেকে এ ধরণের একটি চিঠি এসেছে। ভর্তি জালিয়াতির সাথে জড়িত থাকায় অভিযুক্ত কিছু শিক্ষার্থীর বিস্তারিত তথ্য চিঠিতে চাওয়া হয়েছে। চিঠিটি প্রক্টর অফিসে পাঠানো হয়েছে এবং কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
রেজিস্ট্রার অফিস থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, তালিকায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের ১৩ জন, রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ৯ জন, ইসলাম শিক্ষা বিভাগের চার জন, পদার্থবিদ্যা বিভাগের তিন জন, ফার্মেসি বিভাগের তিন জন, বাংলা বিভাগের তিন জন, ফিন্যান্স বিভাগের দুই জন, মার্কেটিং বিভাগের দুই জন, টেলিভিশন এবং চলচ্চিত্র বিভাগের দুই জন, বিশ্ব ধর্মত্বত্ত এবং সংস্কৃতি বিভাগের তিন জন, ফলিত রসায়ন বিভাগের দুই জন, ইতিহাস বিভাগের দুই জন, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের দুই জন, ইলেট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ইলেট্রনিক্স বিভাগের দুই জন, সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের আট জন, অর্থনীতি বিভাগের পাঁচ জন, মনোবিজ্ঞান বিভাগের পাঁচ জন, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের চার জন, আইন বিভাগের চার জন, স্বাস্থ্য অর্থনীতি বিভাগের দুই জন, ফার্সি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের দুই জন এবং সংস্কৃতি বিভাগের দুই জন শিক্ষার্থী রয়েছেন।
এছাড়াও যোগাযোগ বৈকল্য, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, একাউন্টিং, ইংলিশ ফর আদার ল্যাংগুয়েজ, ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান এবং পালি বিভাগসহ আরও কয়েকটি বিভাগের শিক্ষার্থীদের তথ্য চাওয়া হয়েছে। প্রশ্ন ফাঁস এবং ভর্তি জালিয়াতির ঘটনায় এ পর্যন্ত গ্রেফতার ৪৬ জনসহ অন্তত দেড় শতাধিক আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র সিআইডি প্রস্তুত করেছে বলেও জানা গেছে ।