সেই ছাত্রলীগ কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা, ৫ দিনের রিমান্ড চাইবে পুলিশ
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০১:৪১ PM , আপডেট: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০২:১৬ PM
কুমিল্লায় ছাত্রলীগ নেতার নেতৃত্বে বৌ-ভাত অনুষ্ঠানে হামলা চালিয়ে নববধূকে তুলে নেওয়ার চেষ্টায় আটক সাত ছাত্রলীগ কর্মীর বিরুদ্ধে অপহরণ চেষ্টার মামলা হয়েছে। মামলায় ওই সাতজন ছাড়াও আরো ২৫-৩০ জনকে অজ্ঞাত দেখানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন দেবিদ্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জহিরুল আনোয়ার। তিনি বলেন, গ্রেফতারকৃত আসামিদের আজ বিকেলে আদালতে তুলে ৫ দিনের রিমান্ড চাওয়া হবে।
এর আগে শুক্রবার কুমিল্লার দেবিদ্বারে চলমান এক বিয়ের অনুষ্ঠানে নিমসার জুনাব আলী ডিগ্রী কলেজ শাখার ছাত্রলীগ সভাপতি ইসমাইল ও আরেক ছাত্রলীগ নেতা সাকিব কয়েক জনকে কর্মী নিয়ে হামলা চালায়। ঘটনা বুঝতে পেরে এলাকাবাসী তাদের ঘিরে ফেলে। ইসমাইল ও সাকিব পালিয়ে গেলেও সাত জনকে ধরে ফেলে এলাকাবাসী। পরে তাদেরকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দেবিদ্বার উপজেলার সূর্যপুর গ্রামের জাকির ফরাজীর মেয়ে ফাতেমা আক্তারের (১৯) সাথে গত ১ ফেব্রুয়ারি একই উপজেলার সাহারপাড় গ্রামের মো. ইউনুছের ছেলে ছিদ্দিকুর রহমানের (২৫) বিয়ে হয়েছে; যার বৌ-ভাত অনুষ্ঠান ছিল গতকাল সেখানেই ওই হামলার ঘটনা ঘটনায় ছাত্রলীগ কর্মীরা। আটককৃতদের তথ্যমতে, কনে ফাতেমা আক্তার) নিমসার জুনাব আলী ডিগ্রী কলেজ’র উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণীতে পড়া অবস্থায় ইসমাইলের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সে কারণেই তারা মেয়েকে তুলে নেয়ার চেষ্টা করছিল।
আটক কর্মীরা হলেন- কোতয়ালী থানার জাগরতলি গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে আলী হোসেন (২১), বুড়িচং উপজেলার কোরপাই গ্রামের মরণ পালের ছেলে সজিব পাল (১৯), চান্দিনা উপজেলার এদবারপুর গ্রামের মিজানুর রহমানের ছেলে বাছির আহমেদ (২২), চান্দিনা উপজেলার মহরম গ্রামের জয়নাল আবেদীনের ছেলে নাহিদুল ইসলাম (২২), বুড়িচং উপজেলার নামতলা গ্রামের সুজাত আলীর ছেলে মোহাম্মদ জাফর (২০), চান্দিনা উপজেলার জাফরাবাদ গ্রামের আব্দুল আউয়ার’র ছেলে মেহেদী হাসান (২১) এবং দেবিদ্বার উপজেলার সূরপুর গ্রামের মৃত বাদশা মিয়ার ছেলে মোঃ আলম (২২) ।
দেবিদ্বার থানার অফিসার ইনচার্জ মো. জহিরুল আনোয়ার বলেন, ছাত্রলীগ নেতারা সাংগঠনিক মিটিংয়ের কথা বলে ৭টি মাইক্রোবাস যোগে তাদেরকে নূরীতলা এলাকায় নিয়ে যান। পরে বিয়ের অনুষ্ঠানে ঢুকে পড়লে গ্রামবাসীরা তাদেরকে ঘেরাও করে ফেললে ইসমাইল ও সাকিব পালিয়ে যান।