০৮ মে ২০২৫, ১৫:১৬

‘বাবাকে খুন করেছি, আমাকে ধরে নিয়ে যান’—৯৯৯-এ ফোন করে জানালেন তরুণী

বাবাকে হত্যা করা তরুণীকে আটক করেছে পুলিশ  © পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স সূত্রে পাওয়া

চার বছর ধরে বাবার হাতে ‘ধর্ষণের শিকার’ হচ্ছিলেন এক তরুণী। সহ্য করতে না পেরে শেষ পর্যন্ত বাবাকে হত্যার পর নিজেই ফোন করেন জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে। তখন তিনি বলেন, `আমি বাবাকে খুন করেছি, আমাকে ধরে নিয়ে যান।'

আজ বৃহস্পতিবার (৮ মে) ভোররাতে ঢাকার সাভার পৌরসভার মজিদপুর কাঠালবাগান এলাকা এই ঘটনা ঘটে। কল পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় সাভার মডেল থানা-পুলিশের একটি দল। তারা ওই তরুণীকে গ্রেপ্তার করে এবং মৃতদেহ উদ্ধার করে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। গ্রেপ্তার হওয়া তরুণীর নাম জান্নাতুল জাহান শিফা (২৩)। 

ওই তরুণী জানায়, তার বাবা আব্দুস সাত্তার (৫৫) দীর্ঘ চার বছর ধরে তাকে যৌন নির্যাতন করে আসছিলেন। ২০২২ সালে তিনি বাবার বিরুদ্ধে নাটোরের সিংড়া থানায় ধর্ষণের মামলা করেছিলেন। আব্দুস সাত্তার দীর্ঘদিন কারাভোগের পর জামিনে মুক্তি পান। কিন্তু কারাগার থেকে ফিরে এসেও তিনি বদলাননি। বরং একই ধরণের নির্যাতনের চেষ্টায় লিপ্ত ছিলেন।

ওই তরুণী আরও জানায়, গতকাল বুধবার (৭ মে) রাতে বাবার ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে দেওয়া ভাত খাইয়ে অচেতন করে দেন শিফা। পরে আজ ভোর চারটার দিকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করেন বাবাকে।

সাভার মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ইমরান ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে ৯৯৯-কে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, নিহত আব্দুস সাত্তার নাটোর জেলার সিংড়া উপজেলার ভগা গ্রামের বাসিন্দা। স্ত্রী মারা যাওয়ার পর তিনি মেয়ে শিফাকে নিয়ে সাভারের কাঠালবাগানের একটি পাঁচতলা ভবনের ভাড়া বাসায় বসবাস করছিলেন।

তিনি আরও জানান, ঘটনার পরপরই গ্রেপ্তার তরুণীর বিরুদ্ধে সাভার মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা রুজু করা হয়েছে। বিষয়টি আরও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।