কোচিং বাণিজ্য বন্ধে রিটের রায় ৭ ফেব্রুয়ারি
কোচিং’র নামে বাণিজ্য বন্ধের নীতিমালার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে করা রিটের রায় ঘোষণা করা হবে ৭ ফেব্রুয়ারি। একইসঙ্গে কোচিং বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে দুদকের চিঠির বৈধতার প্রশ্নে জারিকৃত রুলের ওপর ওইদিন রায় দেয়া হবে। রবিবার রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন আদালত। বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ রায়ের জন্য এই দিন ধার্য করে।
কোচিং বাণিজ্যের অভিযোগে দুদকের অনুসন্ধান প্রতিবেদনের ভিত্তিতে রাজধানীর মতিঝিল সরকারি বালক বিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষককে বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেয়া হবে না-সেজন্য কারণ দর্শাতে নোটিশ দেয় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। ওই নোটিশ এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের কোচিং বাণিজ্য বন্ধ নীতিমালা-২০১২ নিয়ে শিক্ষকেরা হাইকোর্টে রিট করেন। রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট এই রুল জারি করেন।
কোচিং বাণিজ্যকে নতুন ধরনের অপরাধ হিসেবে উল্লেখ করে হাইকোর্ট বলেছেন, ক্লাস রুমে পড়ানোর ব্যর্থতার কারণেই কোচিং বাণিজ্য হচ্ছে। রবিবার এ বিষয়ে শুনানিতে এমন মন্তব্য করেন আদালত।
এসময় অ্যামিকাসকিউরি হিসেবে সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার ফিদা এম কামাল বলেন, ‘শিক্ষা ব্যবস্থায় ‘কোচিং’ বৈরী পরিস্থিতির তৈরী করছে। শ্রেণি কক্ষের বাইরে কোচিং চলছে। ফলে ক্লাসকে উপেক্ষা করা হচ্ছে। কোচিং শিক্ষা দিচ্ছে না, এটা শুধু পাশ করার পদ্ধতি বাতলে দিচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘কোচিংয়ে গিয়ে শিক্ষার্থী পরীক্ষায় পাশ করছে, কিন্তু শিক্ষিত হচ্ছে না। শিক্ষক সম্মানী পান ক্লাসে শিক্ষা দেওয়ার জন্য, কিন্তু কোচিং তার পেশা নয়। প্রাইভেট টিউশনকে নীতিমালায় অনুমোদন দেওয়া আছে, কোচিংকে নয়। আমরা ক্লাসরুমের পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারছি না বলেই ব্যাঙের ছাতার মত কোচিং সেন্টার গজিয়ে উঠছে।’
এ সময় আদালতে দুদকের পক্ষে অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান ও অপর অ্যামিকাসকিউরি ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
দুদক আইনজীবী বলেন, ‘কোচিং বাণিজ্য নিয়ে দুটি রিট আজকে রায় প্রদানের জন্য ধার্য ছিলো। কিন্তু একজন অ্যামিকাসকিউরি বিশদভাবে এ বিষয়ে মতামত তুলে ধরেছেন। ৭ ফেব্রুয়ারি রায় ঘোষণা করবে আদালত।’