কোটা আন্দোলনকারী নেতাদের অবরুদ্ধ করে ছাত্রলীগের মারধর
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে অংশ নেয়ার ঘোষণা দেয়ার অপরাধে নূরুল হক নূরুসহ কোটা সংস্কার আন্দোলন নেতাদের অবরুদ্ধ করে মারধরের খবর পাওয়া গেছে। এতে কোটা আন্দোলনের দু’নেতা আহত হয়েছে বলে জানা যায়। পরে প্রক্টরিয়াল টিমের সহযোগিতায় তাদের উদ্ধার করা হয়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সোয়া পাঁচটায় এ ঘটনা ঘটে। কোটা আন্দোলনকারীদের দাবি ছাত্রলীগ তাদের ধাওয়া দিয়েছে। তবে হামলাকারীদের নাম এখনও জানা যায়নি।
এ ব্যাপারে কোটা সংস্কার আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক আবু হানিফ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, দুপুরের পর থেকে অবরুদ্ধ নেতারা ওই ক্যান্টিনে বসে আড্ডা দিচ্ছিলেন। বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এসে তাদের অবরুদ্ধ করে রাখেন।
বাংলাদেশ সাধারণ ছা্ত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খাঁন ‘দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘আমরা প্রায় সময় বাংলা একাডেমিতে যাই। আমিসহ কয়েকজন বাংলা একাডেমি ক্যান্টিনে নাস্তা করে চলে আসলেও সেখানে ব্যাক্তিগত কাজে কয়েকজন রয়ে গিয়েছিলো। সোয়া ৫টার দিকে তাদের উপর হামলা করা হয়। পরে প্রক্টরিয়াল টিম কয়েকজনকে সেখান থেকে উদ্ধার করেছে বলে জানতে পারি । তাদের সাথে থাকা কোটা আন্দোলনের যুগ্ম আহ্বায়ক সোহরাব হোসেনকে পাওয়া যাচ্ছে না। তার ফোন বন্ধ আছে। হামলাকারীরা ছাত্রলীগ নেতাকর্মী।’
এ বিষয়ে জানতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানীকে কয়েকবার ফোন দেয়া হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
উল্লেখ্য, ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন আগামী ১১ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে। এদিন সকাল ৮টা থেকে অপরাহ্ন ২টা পর্যন্ত নির্বাচনের ভোট গ্রহণ চলবে। এতে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অংশ নেবেন কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা। বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের ব্যানারে তারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অংশ নেবেন বলে তারা নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে সংগঠনটির একাধিক নেতা জানিয়েছেন, পরিবেশ ও পরিস্থিতি বিবেচনা করে প্রয়োজনে জোটবদ্ধ হওয়ার পরিকল্পনাও রয়েছে তাদের।