২৫ মার্চ ২০২৫, ১৮:৪৩

গ্রাম্য সালিশে বৃদ্ধকে পিটিয়ে হত্যা, ইবি ছাত্র গ্রেপ্তার

গ্রাম্য সালিশে বৃদ্ধকে পিটিয়ে হত্যা, ইবি ছাত্র গ্রেপ্তার
নিহত হাবিবুর রহমান (বামে) ও গ্রেপ্তার আবদুল্লাহ আল মামুন (ডানে)  © সংগৃহীত

কুমিল্লার লালমাইয়ে জমি সংক্রান্ত বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য ডাকা সালিশ বৈঠকে হাবিবুর রহমান (৬০) নামে এক বৃদ্ধকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় আবদুল্লাহ আল মামুন (২৩) নামে একজনকে  গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার (২৪ মার্চ) বিকেলে উপজেলার বাকই উত্তর ইউনিয়নের হাতিলোটা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন লালমাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহ আলম। 

জানা গেছে, নিহত হাবিবুর রহমান হাতিলোটা গ্রামের মৃত শরাফত আলীর ছেলে। তিনি স্থানীয় শংকুরপাড় দিঘির নৈশপ্রহরীর দায়িত্ব পালন করতেন। গ্রেপ্তার আবদুল্লাহ আল মামুন একই গ্রামের আবদুল জলিলের ছেলে। তিনি কুষ্টিয়া ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থী।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে হাতিলোটা গ্রামের হাবিবুর রহমানের সঙ্গে আবদুল জলিলের জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল। স্থানীয়ভাবে বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য সোমবার সকাল ১০টায় আবদুল জলিলদের উঠোনে সালিশ বৈঠকে বসেন স্থানীয় ইউপি সদস্য রবিউল হোসেন খোকন ও গ্রাম সর্দার সালামত উল্যাহসহ উভয় পক্ষের সালিশদাররা। বৈঠকে কথা কাটাকাটিরি এক পর্যায়ে বিকেল ৩টায় আবদুল জলিলের ছেলে আবদুল্লাহ আল মামুন লাঠি দিয়ে প্রতিপক্ষের লোকজনদের পেটাতে শুরু করেন।

এসময় মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে হাবিবুর রহমান অজ্ঞান হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে উপস্থিত সবাই তাকে উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেল সাড়ে ৫টায় হাবিবুর রহমানের মৃত্যু হয়।

নিহতের মেয়ে মায়া আক্তার বলেন, আবদুল জলিল আমাদের জমি দলিল করে নিয়ে গেছে। সেই জমি ফেরত আনতে সালিশ বৈঠক বসে। শত শত মানুষের সামনে আমার বাবাকে আবদুল্লাহ লাঠি দিয়ে পিটিয়ে মেরে ফেলছে। আমি এই হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করছি।

এ বিষয়ে ওসি মো. শাহ আলম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে শাকিল হোসাইন বাদী হয়ে ৬ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেছেন। মামলার প্রধান আসামি আবদুল্লাহ আল মামুনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশ তৎপর রয়েছে।