১১ মার্চ ২০২৫, ২০:০৪

সাগর-রুনি হত্যা: ফারজানা রুপাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার নির্দেশ আদালতের

সাগর-রুনি হত্যা: ফারজানা রুপাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার নির্দেশ আদালতের
  © টিডিসি সম্পাদিত

সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যাকাণ্ডে একাত্তর টেলিভিশনের সাবেক প্রধান প্রতিবেদক ফারজানা রুপাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বর্তমানে কারাগারে থাকা রুপাকে তদন্তের স্বার্থে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (১১ মার্চ) আদালতের শেরে বাংলা নগর থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখা সূত্রে জানা যায়, পিবিআইয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজিজুল হক সম্প্রতি আদালতে রুপাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আবেদন করেন। গত ৪ মার্চ ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এম এ আজহারুল ইসলাম আবেদনটি মঞ্জুর করে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দেন। এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১৫ এপ্রিল দিন ধার্য করা হয়েছে।

আবেদনে জানানো হয়, সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের সময় ফারজানা রুপা এটিএন বাংলা টেলিভিশনে রিপোর্টার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। রুনির সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল এবং তাদের মধ্যে পারিবারিক সম্পর্কও ছিল। এই হত্যাকাণ্ডটি নিয়ে তিনি টেলিভিশনে রিপোর্ট করেছিলেন। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এ মামলায় তানভীর রহমানসহ মোট আটজন আসামি রয়েছেন। অন্যান্য আসামিরা হলেন— বাড়ির নিরাপত্তারক্ষী এনাম আহমেদ (হুমায়ুন কবির), রফিকুল ইসলাম, বকুল মিয়া, মিন্টু (বারগিরা মিন্টু), মাসুম মিন্টু, কামরুল হাসান অরুণ, পলাশ রুদ্র পাল এবং আবু সাঈদ। আসামিদের বেশ কয়েকবার রিমান্ডে নেওয়া হলেও তাদের কেউই স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেননি।

২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে ঢাকার পশ্চিম রাজাবাজারে মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সারোয়ার ও এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনি তাদের ভাড়া বাসায় নির্মমভাবে খুন হন। পরদিন ভোরে তাদের ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করা হয়। এর পরদিন নিহত রুনির ভাই নওশের আলম রোমান শেরেবাংলা নগর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। প্রথমে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন ওই থানার এক এসআই, পরে মামলার তদন্তভার ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কাছে হস্তান্তর করা হয়। দুই মাসের বেশি সময় তদন্ত করার পরও রহস্য উদঘাটনে ব্যর্থ হয় ডিবি। এরপর হাইকোর্টের নির্দেশে একই বছরের ১৮ এপ্রিল মামলাটির তদন্তভার র‍্যাবের কাছে হস্তান্তর করা হয়। দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও এখনও মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়নি।

এদিকে গত বছর ৩০ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট এই হত্যা মামলার তদন্ত দায়িত্ব র‍্যাব থেকে সরিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে গঠিত একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন টাস্কফোর্সের মাধ্যমে তদন্ত করার নির্দেশ দেন।