মাদারীপুরে বালু ব্যবসা নিয়ে ব্যাপক সংঘর্ষ: নিহত ৩, আহত ১০

আহত পলাশ সরদারকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনার পর মৃত্যু হয়
আহত পলাশ সরদারকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনার পর মৃত্যু হয়  © ফাইল ফটো

বালু ব্যবসাকে কেন্দ্র করে মাদারীপুর সদর উপজেলায় ব্যাপক ও ভয়াবহ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে প্রতিপক্ষের হামলায় আপন দুই ভাইসহ ৩ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন। আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে মাদারীপুরের খোয়াজপুর এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। 

নিহতদের বোন হাফিজা বেগম বলেন, ‘মাদারীপুরের খোয়াজপুরের কীর্তিনাশা নদী থেকে বালু উত্তোলনের ব্যবসা করত আমার ভাই সাইফুল সরদার। আমাদের একই বংশের আরেক পক্ষ হোসেন সরদারও বালুর ব্যবসা করত। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন যাবত দ্বন্দ্ব চলছিল। এর জেরে আজ ১১টার দিকে আমাদের সরদার বাড়ির জামে মসজিদের সামনে আমার ভাই সাইফুল সরদারকে একা পেয়ে হামলা করে হোসেন সরদারের লোকজন। বিষয়টি জানতে পেরে আমার আরেক ভাই আতাউর সরদার ও অলিল সরদারসহ অন্যান্যরা ঘটনাস্থলে যায়। এ সময় হোসেন সরদারের লোকজন হামলা চালালে আমার তিন ভাই দৌড়ে পাশের মসজিদের ভেতর লুকায়। সেখান থেকে তাদের টেনে বের করে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে প্রতিপক্ষের লোকেরা। এতে ঘটনাস্থলেই আমার আপন দুই ভাই সাইফুল সরদার ও আতাউর সরদার মারা যান। গুরুতর আহত অবস্থায় আমার চাচাতো ভাই পলাশ সরদারকে ঢাকা মেডিকেলে আনলে ডাক্তার জানায়, সে মারা গেছে।’

হাফিজা বেগম আহাজারি করে বলেন, ‘আল্লাহর ঘরে লুকিয়েও আমার ভাইরা রক্ষা পেল না। তাদের আল্লাহর ঘর মসজিদের ভেতর থেকে বের করে কুপিয়ে হত্যা করছে হোসেন সরদারের লোকজন। আল্লাহই তাদের বিচার করবেন। হোসেন সরদার ও শাজাহান খানের লোকজন আমাদের সব শেষ করে দিল।’ 

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক পলাশ সরদারের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, আজ বিকেলের দিকে গুরুতর আহত অবস্থায় ওই ব্যক্তিকে হাসপাতালে আনা হলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার মরদেহ জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় অলিল সরদার (২৮) ও তাজেল সরদার (২৫) নামে দুজনকে হাসপাতালে আনা হলে তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশকে জানানো হয়েছে।


সর্বশেষ সংবাদ