২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:২১

খুবি শিক্ষার্থী অর্ণব হত্যার রহস্য উন্মোচন

খুবি শিক্ষার্থী অর্ণব হত্যার রহস্য উন্মোচন
অর্ণব কুমার সরকার  © টিডিসি ফটো

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) মাস্টার্স প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী অর্ণব কুমার সরকার (২৬) হত্যার রহস্য উন্মোচন করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) সদর দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার কুতুব উদ্দিন অর্ণব হত্যার রহস্য উন্মোচন করেন।

কুতুব উদ্দিন জানান, খুলনায় শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রেনেড বাবু ও কালা লাবলু-পলাশ গ্রুপের দ্বন্দ্বের জেরে অর্ণব হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়। নিহত অর্ণব কালা লাবলু-পলাশের বন্ধু ছিলেন। খুব ছোট বেলা থেকে তাদের মধ্যে বেশ ভালো সম্পর্ক ছিল। এ সম্পর্ক তার জীবনে বড় কাল হয়ে দাঁড়ায়। গ্রেনেড বাবুর সদস্যরা তাকে হত্যা করে। 

তিনি আরও বলেন, ‘এ হত্যাকাণ্ডে ৯ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার হওয়া আসামিদের মধ্যে ইনসান শরীফের কাছ থেকে একটি ওয়ান শুটার গান, ২ রাউন্ড গুলি এবং হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়। অন্যান্য আসামিদের মধ্যে শাহারিয়ার সজল ও মাহিন হোসেন শুভ অর্ণব হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। বাকি আসামিরা পুলিশের কাছে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করলেও আদালতে নিজেদের সম্পৃক্ততার কথা এড়িয়ে যান। দুটি গ্রুপের দ্বন্দ্বের জেরে অর্ণব খুন হন বলে আসামিরা স্বীকার করেছেন।’

এ হত্যা মামলায় অর্ণবের বন্ধু গোলাম রব্বানির সম্পৃক্ততার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘রব্বানির ডাকে সাড়া দিয়ে অর্ণব শেখপাড়া তেঁতুলতলা মোড়ে আসে। অর্ণব আসা মাত্র সন্ত্রাসীরা তাকে গুলি করে এবং পরবর্তীতে কুপিয়ে হত্যা নিশ্চিত করে।’

ইনসানের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া ওয়ান শুটারের বিষয়ে জানতে চাইলে এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘উদ্ধার হওয়া অস্ত্রটি পরীক্ষার জন্য ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে রিপোর্ট এলে বোঝা যাবে তাকে ওই অস্ত্র দিয়ে হত্যা করা হয়েছে কিনা।’ 

প্রসঙ্গত, গত ২৪ জানুয়ারি অর্ণব নগরীর তেঁতুলতলা মোড়ে নর্থ ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটির পাশে একটি চায়ের দোকানের সামনে মোটরসাইকেলে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এ সময় তাকে কয়েকজন দুর্বৃত্ত ঘিরে ধরে এবং তার মাথায় গুলি করে। এতে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে বেসরকারি সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত অর্ণব কুমার বানরগাতি ইসলাম কমিশনার মোড় এলাকার নিতেশ কুমার সরকারের ছেলে। পরিবারের দাবি, অর্ণব কোনো ধরনের রাজনীতি বা স্থানীয় কোন্দলে জড়িত ছিলেন না। তার সঙ্গে এ ধরনের ঘটনা তারা বিশ্বাস করতে পারছেন না।