০৭ জানুয়ারি ২০১৯, ১৪:৩৮

৮ বছরেও বিচার হয়নি ফেলানী হত্যার

কাঁটাতারে ঝুলছে ফেলানীর লাশ  © ফাইল ফটো

ভারতীয় সীমান্ত রক্ষীবাহিনী বিএসএফ’র গুলিতে ২০১১ সালের আজকের এই দিনে নিহত হয় ১৪ বছরের কুড়িগ্রামের ফেলানী। কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার অনন্তপুর সীমান্ত এলাকায় কাঁটাতারের বেড়ায় সাড়ে চার ঘণ্টা ঝুলিয়ে রাখা হয় ফেলানীর নিথর দেহ। এ ছবি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে বাংলাদেশ, ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সমালোচনার ঝড় ওঠে। দীর্ঘ আট বছর পার হলেও এই হত্যাকাণ্ডের বিচার হয়নি এখনো। হতাশায় ভুগছে পরিবার।

ফেলানীর বাবা নুরল ইসলাম ভারতের কোচবিহারে বিএসএফের বিশেষ আদালতে পরপর দুবার  সাক্ষী দিয়ে এলেও, অভিযুক্ত অমিয় ঘোষকে বেকসুর খালাস দেন আদালত। পরে ন্যায় বিচারের আশায় ভারতের মানবাধিকার সংগঠন মাসুম-এর (মানবাধিকার সুরক্ষা মঞ্চ) সহায়তায় ভারতের সুপ্রিম কোর্টে একটি রিট আবেদন দাখিল করেন ফেলানীর বাবা।

ফেলানী হত্যা মামলায় ফেলানীর পক্ষের আইনজীবী, কুড়িগ্রাম জজকোর্টের সরকারি কৌঁসুলি আব্রাহাম লিংকন জানান, ভারতের সুপ্রিম কোর্টে ২০১৭ সালের ২৫ অক্টোবর শুনানির পর, বার বার তারিখ পিছিয়ে যায়। ফলে এখনো ঝুলে আছে ফেলানী হত্যার বিচারকাজ।

দেশ-বিদেশে সমালোচনার মুখে ফেলানী হত্যার আড়াই বছর পর ২০১৩ সালের ১৩ আগস্ট ভারতের কোচবিহারে বিশেষ আদালতে বিচারকাজ শুরু করে বিএসএফ। শুনানি শেষে ২০১৩ সালের ৬ সেপ্টেম্বর অভিযুক্ত অমিয় ঘোষকে বেকসুর খালাস দেন বিএসএফের আদালত। আবারো সমালোচনার ঝড় উঠলে ২০১৪ সালের ২২ সেপ্টেম্বর পুনর্বিচারিক কার্যক্রম শুরু করেন একই আদালত। ২০১৪ সালের ২ জুলাই পুনরায় অমিয় ঘোষের বেকসুর খালাসের রায় বহাল রাখেন আদালত।