পারিবারিক বিরোধের জেরে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে অপহরণ ও মারধরের অভিযোগ
নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলায় ১১ বছর বয়সি এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে অপহরণ ও মারধরের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগীর দাদা বজলুর রহমান খান। মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) বিকেলে দুর্গাপুর পৌরশহরের দুর্গাপুর সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করে বজলুর রহমান খান জানান, পারিবারিক বিরোধের জেরে সোমবার (২০ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় কাকৈরগড়া ইউনিয়নের বড়বাট্টা গ্রামের আসাদ মিয়া, আবু ফাতা, হবি মিয়া ও নূর বানু তার নাতনী সামিয়াকে অপহরণ করে নির্মমভাবে মারধর করে।
তিনি বলেন, প্রাইভেট পড়া শেষে বাড়ি ফেরার পথে রোকসানা আক্তারের বাড়ির সামনে পৌঁছালে অভিযুক্তরা সামিয়াকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে হবি মিয়ার বাড়িতে আটকে রাখে। সেখানে আসাদ মিয়া হত্যার নির্দেশ দিলে আবু ফাতা, হবি মিয়া ও নূর বানু তাকে মারধর শুরু করে এবং বস্তায় ভরে নদীতে ভাসিয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়।
সামিয়ার চিৎকার শুনে স্থানীয় ইয়াছমিন, সায়মা ও রোকসানা আক্তার এগিয়ে এলে তাকে উদ্ধার করা হয়। অভিযুক্তরা তখনও হুমকি দিয়ে বলে, আজ বেঁচে গেছে, পরবর্তীতে আর বাঁচতে দিবো না। আহত অবস্থায় সামিয়াকে দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়, যেখানে সে বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন হারুনুর রশিদ লিটন, বিউটি খানম, রাসেল খানসহ অন্যান্য স্বজনরা। তারা অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে।