দুর্নীতির নথিপত্র ধ্বংস করার জন্যই কি সচিবালয়ে পরিকল্পিত অগ্নিকাণ্ড—প্রশ্ন ইশরাক হোসেনের
প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র সচিবালয়ে ভয়াবহ আগুন; নাশকতা নাকি দুর্ঘটনা? দেশজুড়ে আলোচনা চলছেই। কেউ বলছে পরিকল্পিত, আবার কেউ বলছে দুর্ঘটনা। এবার আলোচনায় যোগ দিয়েছেন বিএনপির আন্তর্জাতিকবিষয়ক কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন। সচিবালয়ে আগুন লাগার ঘটনায় প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন তিনি। প্রশ্ন ছুড়ে জানতে চেয়েছেন, ‘হাসিনা পরিবার ও তার দোসরদের দুর্নীতির নথিপত্র ধ্বংস করার জন্যই কি এই পরিকল্পিত অগ্নিকাণ্ড?’
বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে ইশরাক হোসেন এই প্রশ্ন ছুড়ে দেন।
বৃহস্পতিবার দেশের প্রশাসনিক প্রাণকেন্দ্র সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনে মধ্যরাতে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। পরে ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের অক্লান্ত প্রচেষ্টায় তা নিয়ন্ত্রণে আসে। এ ঘটনাকে ইশরাক হোসেন ‘পরিকল্পিত’ মনে করছেন।
ইশরাক হোসেন ওই স্ট্যাটাসে আরও লিখেছেন, ‘যতদিন যাবে সংকট আরও গভীর হবে। তাই আমরা নির্বাচনের কথা বার বার বলছি। রাজনৈতিক সরকার ছাড়া আওয়ামী ও বিদেশি ষড়যন্ত্র মোকাবিলা সম্ভব নয়।’
বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির এই সদস্য লিখেছেন, ‘নির্বাচন শব্দটি শুনলেই যারা মহাবিরক্ত হোন, দয়া করে বোঝেন। বিএনপি অভিজ্ঞতা থেকেই দেশ রক্ষার্থে পরামর্শ দিচ্ছে। অন্য কাউকে বিশ্বাস না করলেও তারেক রহমানের ওপর ভরসা করুন।’
ইশরাক হোসেন আরও লিখেছেন, সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়সহ বিভাগের অফিস রয়েছে। এই ভবনে রয়েছে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়; যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়; ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়; ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ; স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার বিভাগ, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ; শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়; অর্থ মন্ত্রণালয়, অর্থ বিভাগ, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ; সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রণালয়, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ। আগুনে এসব মন্ত্রণালয়ের কাগজপত্র পুড় গেছে, ধারণা করা হচ্ছে।