সড়ক দুর্ঘটনায় এক মাসে শিক্ষার্থীসহ প্রাণ গেছে ৯ জনের
যশোরের মনিরামপুরে এক মাসে ২৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় শিক্ষার্থীসহ ৯ জনের প্রাণ ঝরেছে। দুর্ঘটনায় প্রায় অর্ধশত ব্যক্তি গুরুতর আহত হয়ে পঙ্গুত্ববরণ করছেন। এর মধ্যে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন পাঁচজন। সড়কে বেপরোয়া গতিতে যান চলাচলকে দুর্ঘটনায় হতাহতের অন্যতম কারণ বলছেন অনেকে। এ জন্য সড়কে আইন প্রয়োগে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কঠোর হওয়ার বিকল্প নেই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
মনিরামপুর ফায়ার সার্ভিস স্টেশনসহ একাধিক সূত্রে জানাগেছে, গত ২১ ডিসেম্বর মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় উপজেলার হালসা গ্রামের ছবেদ আলী সরদারের ছেলে আফজাল হোসেন (৩৫), ১৫ ডিসেস্বর রাজারহাট-চুকনগর মহাসড়কের মনিরামপুরের চালকিডাঙ্গা এলাকায় দুই মোটরসাইকেল মুখোমুখী সংঘর্ষে উপজেলার দেলুয়াবাটি গ্রামের আহাদ আলী মোড়লের ছেলে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ুয়া আসবাবুর রহমান (১৭) ও সদর উপজেলার ঝাউদিয়া গ্রামের মুনছুর আলীর ছেলে হাফিজুর রহমান (৫৫) নিহত হন।
গত ৯ ডিসেম্বর রাজগঞ্জ এলাকায় ট্রাক চাপায় উপজেলার চন্ডীপুর গ্রামের কোমর আলী শেখের ছেলে শেখ আব্দুল লতিফ (৫৫) প্রাণ হারান। রাজারহাট-চুকনগর মহাসড়কে পেয়ারাতলা মোড়ে মোটরসাইকেল ও পিকআপের মুখোমূখী সংঘর্ষে গত ২১ নভেম্বর মোটরসাইকেল আরোহী কলেজছাত্রী খানপুর গ্রামের ইলিয়াস হোসেনের মেয়ে ফারজানা ইয়াসমিন রিমি (২০) ও হাসান আলীর ছেলে মারুফ হোসেন (১৮) ঘটনাস্থলে নিহত হন।
এর আগে গত ১০ ডিসেম্বর এর প্রায় ১০০ গজ দূরে একই মহাসড়কে ট্রাকের ধাক্কায় উপজেলার মধুপুর গ্রামের আবু মুছার স্ত্রী রিক্তা পারভীন (২৫) নিহত হন। তার তিন বছরের মেয়ে নুসরাত ও স্বামী আহত হন। গত ১ ডিসেম্বর ভাংড়ি ব্যবসায়ী সামছুর রহমান (৫৫) মারা যান সড়ক দুর্ঘটনায়। এছাড়া নভেম্বরে ট্রলি চাপায় কোদলাপাড়া গ্রামের মনিরুল ইসলামের ৭ বছরের ছেলে আরাফাত হোসেন নিহত হয়। এসব সড়ক দুর্ঘটনায় প্রায় অর্ধশত আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
আরো পড়ুন: বিয়ের দাওয়াতে ঢাকায় এসে রেস্টুরেন্ট থেকে আটক ছাত্রলীগ নেতা
সড়কে প্রাণহানির ঘটনায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকসহ সাধারন মানুষ। সড়কে প্রাণহানি রোধে এবং দুর্ঘটনা এড়াতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে কার্যকরী ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা। অভিভাবক আসাদুজ্জামান, রফিকুল ইসলামসহ কয়েকজন বলেন, সড়কে যে হারে দুর্ঘটনা বেড়েছে. তাতে সন্তানকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠিয়ে বাড়ি ফিরে না আসা পর্যন্ত চিন্তায় থাকতে হয়।
মনিরামপুর ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের দায়িত্বরত কর্মকর্তা সাফায়েত হোসেন বলেন, নভেম্বরে ও ডিসেম্বরে ২৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪৯ জন আহত হয়েছে। তবে তিনজনের নিহতের তথ্য থাকলেও পুরো তথ্য তার কাছে নেই।