১৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯:৪৪

চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি: মারধরের পর আওয়ামী লীগ নেতার রগ কাটলো বিএনপি

আহত আওয়ামী লীগ নেতা সেলিম রেজা  © সংগৃহীত

২০ লাখ টাকা চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে সিরাজগঞ্জে ইউনিয়ন পর্যায়ের এক আওয়ামী লীগ নেতাকে বিএনপির নেতাকর্মীরা মারধরের পর দুই পায়ের রগ কেটে দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) সকালে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার সায়দাবাদ ইউনিয়নের সায়দাবাদ পুনর্বাসন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। 

আহত সেলিম রেজা সদর উপজেলার পূর্বমোহনপুর গ্রামের মৃত হারু শেখের ছেলে। তিনি সায়দাবাদ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও সাবেক ইউপি মেম্বার। স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতার অভিযোগ, বিএনপি নেতাকর্মীদের ২০ লাখ টাকা চাঁদা দিতে রাজি না হওয়ায় তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে মারধর করা হয়েছে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিএনপি।  

আহতের ছেলে আব্দুল জলিল গণমাধ্যমে অভিযোগ করে বলেন, বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) সকালে ৩০-৩৫ জন বিএনপি নেতাকর্মী আমাদের বাড়ির সামনে থেকে বাবাকে অটোভ্যানে তুলে নিয়ে যায়। এরপর তারা বাবাকে পিটিয়ে দুই পা, ডান হাত ভাঙার পর দুই পায়ের রগ কেটে দিয়েছে। 

এমনকি তার মাথায় কুপিয়ে জখম করে অচেতন অবস্থায় পূর্ববাঐতারা স্কুলের সামনে ফেলে রেখে যায়। ঘটনাস্থল থেকে তাকে উদ্ধারের পর সিরাজগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে ঢাকায় রেফার্ড করেন। বর্তমানে তাকে ঢাকার একটি ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে। প্রচুর রক্তক্ষরণ হওয়ায় তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।

সায়দাবাদ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সাইদুল ইসলাম রাজা বলেন, সেলিম রেজা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহত যুবদল নেতা সোহানুর রহমান রঞ্জু হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। সরকার পতনের পর থেকে সে পালিয়ে ছিল। সম্প্রতি হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়ে ৩ দিন আগে বাড়িতে ফিরেছে। বাড়ি ফেরার পর বিএনপি নেতা-কর্মীরা তার কাছে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দেওয়ায় তাকে ধরে নিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে মারধর করা হয়।

সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি সরকার মো. রফিকুল ইসলাম সেলিমকে মারধরের বিষয়ে বিএনপি নেতাকর্মী জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করে বলেন, সেলিম রেজা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহত যুবদল নেতা রঞ্জু ও ২০১৪ সালে নিহত ইউনিয়ন যুবদল নেতা জবান আলী হত্যা মামলার আসামি। সরকার পতনের পর থেকে সে পলাতক ছিল। এলাকায় এলে স্থানীয় জনতা তাকে ধরে মারধর করার পর পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে।

সদর থানার ওসি মো. হুমায়ুন কবীর জানান, সেলিম রেজাকে মারধরের সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। আহত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসকরা তাকে ঢাকায় রেফার্ড করেছেন। এ ঘটনায় এখনো কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি।